নাসার নেভাডা ন্যাশনাল সিকিউরিটি সাইটে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পরীক্ষা চালানো হয়েছে ‘কিলোপাওয়ার রিঅ্যাক্টর’ নামের এই পারমাণবিক চুল্লির, বলা হয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের প্রতিবেদনে।
প্রকল্পে কাজ করা জিম রয়টার বলেন, “নিরাপদ, কার্যকর এবং যথেষ্ট শক্তি হবে ভবিষ্যত রোবোটিকস এবং মানব অন্বেষণের মূল চাবি।”
“আমি বিশ্বাস করি বিকাশ ঘটলে চন্দ্র ও মঙ্গলে শক্তি সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে কিলোপাওয়ার।”
কিলোপাওয়ার হলো হালকা একটি বিভাজন শক্তি ব্যবস্থা, যা ১০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এই শক্তি দিয়ে মাঝারি ধরনের কয়েকটি বাড়িতে টানা ১০ বছর বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চাঁদে সূর্য থেকে শক্তি উৎপাদন কঠিন হওয়ায় নাসার ধারণা চাঁদের জন্য আদর্শ হবে এই পারমাণবিক চুল্লি। কারণ এক চাঁদ রাত পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান।
কিলোপাওয়ারের প্রধান প্রোকৌশলী মার্ক গিবসন বলেন, “কিলোপাওয়ার আমাদেরকে আরও বেশি শক্তির মিশন পরিচালনা এবং চাঁদের অন্ধকার গর্তগুলোতে অনুসন্ধান চালানোর ক্ষমতা দিয়েছে।”
“আমরা যখন চাঁদে বা অন্যান্য গ্রহে দীর্ঘ দিন থাকার জন্য নভোচারী পাঠাবো সেখানে নতুন শ্রেণির শক্তি লাগবে যা আগে কখনও দরকার পড়েনি, ” যোগ করেন গিবসন।
নতুন পারমাণবিক চুল্লিটি পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল দু’টি। এর মধ্যে একটি হলো ব্যবস্থাটি বিভাজন শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে কিনা। আর ব্যবস্থাটি স্থির এবং পরিবেশের জন্য নিরাপদ কিনা।
গিবসন বলেন, “আমরা চুল্লিটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি এবং পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে যে ব্যবস্থাটি যেভাবে নকশা করা হয়েছে তেমনভাবেই কাজ করে। যে পরিবেশই দেওয়া হোক না কেনো, চুল্লিটি ভালা কাজ করে।”
চুল্লিটি কখন মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।