এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাম, ঠিকানা, অ্যাকাউন্ট নাম্বার আর অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিবরণ। দুটি ম্যাগনেটিক টেপে রাখা এই তথ্য ২০১৬ সালে এক ঠিকাদারের মাধ্যমে নষ্ট করার কথা ছিল। কিন্তু এই টেপগুলো আসলেই নষ্ট করার প্রমাণ গ্রহণ না করলেও, ব্যাংকটি গ্রাহকদের এই সম্ভাব্য সমস্যা সম্পর্কে জানায়নি।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটিকে জড়িয়ে এটিই ডেটা নিরাপত্তা লঙ্ঘন সম্পর্কিত সর্বশেষ কেলেঙ্কারি, এমনটাই বলা হয়েছে বিবিসি;র প্রতিবেদনে।
অস্ট্রেলিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা এক নথির সূত্রমতে, ব্যাংকটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ১৫ বছরের ডেটা সংরক্ষণ করে রাখা টেপগুলো সুরক্ষিতভাবে নষ্ট করার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি। কিন্তু ব্যাংকটির দাবি, হিসাবকারী প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি’র একটি স্বতন্ত্র তদন্তে জানা গেছে, “সবচেয়ে বেশি সম্ভাব্য ঘটনা হচ্ছে টেপগুলো নষ্ট করা হয়েছে।”
সেই সঙ্গে ব্যাংকটি আরও বলে, “এই টেপগুলোতে পাসওয়ার্ড, পিন বা অন্য কোনো ডেটা নেই যা অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জোর দাবি ব্যাংকটির।
বাজফিড নিউজ প্রথম এই টেপ হারানোর খবর প্রকাশ করে। সংবাদ সাইটটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুজি জেরক্স-এর মাধ্যমে এই টেপগুলো নষ্ট করে দেওয়ার কথা ছিল।
কমনওয়েলথ ব্যাংক-এর খুচরা ব্যাংকিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অ্যাঙ্গুস সালিভান এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই ঘটনার কারণে গ্রাহকদের কোনো প্রকার “ঝামেলা বা দুশ্চিন্তা” জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাংকিং খাত যখন একটি অনুসন্ধান নিয়ে কড়া নজরদাড়িতে আছে ঠিক এমন সময়েই এই প্রাইভেসি লঙ্ঘনের খবর এলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।