এই ক্রয়চুক্তির জন্য ফ্লিপকার্টকে দুইশ’ কোটি ডলার ব্রেকআপ ফি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে অ্যামাজন। ব্রেকআপ ফি বলতে এই ক্রয়চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া পরিচালনায় যে অর্থ খরচ হবে তা বুঝানো হয়েছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টও ফ্লিপকার্টকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছে, দুই প্রস্তাবই এখন একই অবস্থায় থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
ফ্লিপকার্ট-এর বিনিয়োগকারী আর প্রতিষ্ঠাতারা ওয়ালমার্ট-এর সঙ্গে চুক্তির দিকে ঝুঁকে আছেন। সহ-প্রতিষ্ঠাতা শচীন বানসাল ওয়ালমার্ট-এর সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনার দিকে তাকিয়ে।
অ্যামাজনও ফ্লিপকার্ট প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতাহীন একটি চুক্তির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চলতি বছর জুনের শেষে ওয়ালমার্ট ফ্লিপকার্টের অধিকাংশ অংশ ক্রয়ের চুক্তিতে পৌছাতে পারে বলে খবর প্রকাশ করেছিল রয়টার্স।
এখন ফ্লিপকার্টের সঙ্গে দুই মার্কিন প্রতিষ্ঠানের যে কোনো একটির চুক্তি ভারতের উঠতি ই-কমার্স বাজারে বড় শেয়ারের জন্য অ্যামাজন-ওয়ালমার্ট লড়াই তৈরি করে দিতে পারে।
শীঘ্রই ওয়ালমার্টের বৈশ্বিক দল ভারতে চুক্তি সম্পন্নের জন্য আসতে পারে।
এ নিয়ে ওয়ালমার্ট-এর মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন আর ফ্লিপকার্ট তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অ্যামাজন বলেছে, তারা গুঞ্জন আর ধারণার উপর কোনো মন্তব্য করে না।