কোগান-এর কাছ থেকেই ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের ডেটা নিয়ে অপব্যবহার করেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। এই ঘটনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটিকে তুমুল সমালোচনায় ফেলে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল, এই পাঁচ মাসের পাবলিক টুইটগুলো থেকে এলেমেলোভাবে নেওয়া কিছু টুইটের এপিআই অ্যাকসেস কেনে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি টুইটার ব্যবহারকারীদের ডেটাবেইসে প্রবেশাধিকার পায়।
টুইটারের পক্ষ থেকে ব্লুমবার্গ-কে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ যাচাইয়ে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি টুইটার ব্যবহারকারীদের কোনো ব্যক্তিগত ডেটা দেখার প্রবেশাধিকার পায়নি।
জরিপ বা মতামত নেওয়ার মতো কাজের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বড় সংস্থা বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাছে এপিআই অ্যাকসেস বিক্রি করে টুইটার, বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ-এর প্রতিবেদনে।
টেলিগ্রাফ-কে টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, “টুইটারে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মালিকানাধীন ও পরিচালিত সব অ্যাকাউন্ট থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার।” তিনি আরও বলেন, “কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা আমাদের প্লাটফর্মে একটি সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে টুইটারের নীতিমালা মেনে থাকতে পারবে।”
এক্ষেত্রে টুইটারের ডেটা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে যাওয়ার বিষয়টি ফেইসবুকের ঘটনার মতো নয়। টুইটারে থাকা ব্যবহারকারীদের ডেটা ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের তুলনায় কম ব্যক্তিগত। তবে এ থেকে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ডেটা সংগ্রহের পরিসর কতোটা বিস্তৃত ছিল তা বোঝা যায়, এমনটাই বলা হয়েছে টেকক্রাঞ্চ-এর প্রতিবেদনে।