নিজেদের ব্যবস্থা প্রয়োগের বিষয়ে এই প্রথম ত্রৈমাসিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলো গুগল অধীনস্থ সাইটটি। কপিরাইট বা আইনি কারণে সরিয়ে দেওয়া ভিডিওর সংখ্যা এই তালিকার বাইরে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ইউটিউব-এর প্রতিবেদন মতে, ওই সময়ের মধ্যে যৌনতাপূর্ণ ভিডিও নিয়ে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আসা অভিযোগের সংখ্যা ৯১ লাখ। ঘৃণা ও নিপীড়নমূলক কনটেন্ট হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে এমন কনটেন্ট-এর সংখ্যা ৪৭ লাখ।
অধিকাংশ অভিযোগই ভারত, যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিল থেকে এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
ইউটিউব-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের অ্যালগরিদম ৬৭ লাখ ভিডিও শনাক্ত করেছে। এই ভিডিওগুলো পরে মডারেটররা দেখেছেন ও মুছে ফেলেছেন।
প্রতিষ্ঠানটি বিবিসিকে বলে, তারা মুছে ফেলা ভিডিওগুলোর ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ডেটা সংগ্রহ করে রেখেছেন যাতে কেউ ঐ একই ভিডিও আবার আপলোড করতে চাইলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তা শনাক্ত করতে পারে।
শিশুদের জন্য রাখা প্লাটফর্ম ইউটিউব কিডস-এ ঠিক কতগুলো অনুপযুক্ত ভিডিও নিয়ে অভিযোগ এসেছে বা মুছে ফেলা হয়েছে তা নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে ‘রিপোর্টিং ড্যাশবোর্ড’ নামের একটি জায়গা চালুর ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের অভিযোগ করা ভিডিও’র অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ইউটিউবে ভিডিও নিয়ে অভিযোগের ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশগুলোর তালিকা-
১. ভারত
২. যুক্তরাষ্ট্র
৩. ব্রাজিল
৪. রাশিয়া
৫. জার্মানি
৬. যুক্তরাজ্য
৭. মেক্সিকো
৮. তুরস্ক
৯. ইন্দোনেশিয়া
১০. সৌদি আরব