ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি। এবার এটির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের এয়ারপ্রক্স বোর্ড। এই ঘটনাকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির রেটিং দিয়েছে তারা, বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট সিনেটের প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “ঘটনার সময় ৪৮০০ ফুট উঁচুতে ছিল এয়ারবাস। এ সময় সাদা রঙয়ের একটি ‘মাঝারি আকারের’ ড্রোন এর পাশ দিয়ে চলে যায়, ধারণা করা হচ্ছে প্লেন ও ড্রোনের মধ্যে দূরত্ব ছিল ২০ ফুট।”
বোর্ড জানায়, জরুরি কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার মতো সময় ছিল না পাইলটের। প্লেনটি কোন এয়ারলাইনের ছিল তা শনাক্ত করতে পারেনি তারা। শুধু বলা হয়েছে এটি একটি বাণিজ্যিক প্লেন ছিল। আর এতে মোট যাত্রী ছিলেন ১৬০ জন।
কোন অঞ্চলে বৈধভাবে ড্রোন ওড়ানো যাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে যুক্তরাজ্যের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি’র।
নীতিমালা অনুসারে, “ড্রোন সব সময় চালকের দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকতে হবে, যাতে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন এটি কোনো কিছুর সঙ্গে সংঘর্ষে না, বিশেষ করে প্লেনের সঙ্গে।”
দেশটিতে এমন নীতিমালাও রয়েছে যে সাত কেজির বেশি ওজনের ড্রোন ৪০০ ফুটের ওপরে উড়তে পারবে না।
ঘটনার বিষয়ে জানতে যুক্তরাজ্য এয়ারপ্রক্স বোর্ড এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো প্রতিষ্ঠানই তাতক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে কিছু পাইলট বিশ্বাস করেন না যে ড্রোন কোনো সমস্যা হতে পারে। এয়ারলাইন ক্যাপ্টেন ক্রিস ম্যানো বলেন, “এগুলো ‘বার্ড স্ট্রাইকের’ চেয়ে বেশি বিপজ্জনক নয়।”