মিয়ানমারের এনজিওগুলোর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী জাকারবার্গ

মিয়ানমারে ঘৃণামূলক বিবৃতি নিয়ে ফেইসবুকের ব্যবস্থাপনা ‘একেবারেই অপর্যাপ্ত’ ছিল বলে সোমবার মন্তব্য করেছে দেশটির ছয়টি অলাভজনক সংস্থার একটি দল।  

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2018, 11:40 AM
Updated : 10 April 2018, 11:40 AM

অবমাননাকর কনটেন্ট শনাক্ত ও দ্রুত ছড়ানো বন্ধ না করার বিষয়ে ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ওই দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠি পাওয়ার পরই ফেইসবুকের ব্যবস্থাপনা নিয়ে মন্তব্য করে দলটি।

মার্কিন সিনেট কমিটির সদস্যদের সামনে “প্রাইভেসি, নিরাপত্তা আর গণতন্ত্র” নিয়ে ১০ এপ্রিল হাজির হওয়ার কথা রয়েছে জাকারবার্গ-এর। এর ঠিক এক দিন আগেই বাজফিড নিউজ-এর কাছে জাকারবার্গ-এর ওই চিঠি পাঠিয়েছে মিয়ানমারের এনজিওগুলো।

চলতি মাসের শুরুতে এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কথা বলা বার্তাগুলো ছড়ানো বন্ধে নিজের সোশাল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাকে কৃতিত্ব দেন জাকারবার্গ। এরপর কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হন তিনি। ওই সমালোচনার জবাবেেই ক্ষমা চেয়ে এই চিঠি পাঠিয়েছেন ফেইসবুক সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

দেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে এমন সমস্যাযুক্ত সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট আর বার্তাগুলো শনাক্তে কৃতিত্ব ফেইসবুকের নয়, বরং এই কৃতিত্ব নিজেদের বলে দাবি এনজিওগুলোর।  অন্যদিকে, এ নিয়ে ফেইসবুকের আগানোর উপায় “প্রথা থেকে অনেক দূরে” বলেও মন্তব্য তাদের।  

ওই দলগুলোর উদ্দেশ্যে জাকারবার্গ তার চিঠিতে বলেন, “এই চিঠির জন্য আপনাদের ধন্যবাদ এবং মিয়ানমার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বুঝতে ও তা নিয়ে সাড়া দিতে আপনারা যেভাবে আমাদের সহায়তা করছেন সেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে না পারায় আমি ক্ষমা চাচ্ছি।”

“ওই মন্তব্যে আমি আলোকপাত করতে চেয়েছি আমরা কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করছি যাতে করে অবমাননাকর, ঘৃণামূলক আর মিথ্যা কনটেন্ট আমাদের সম্প্রদায় চিহ্নিত করার আগেই আমরা যেন সেগুলো ভালোভাবে শনাক্ত করতে পারি।”

ফেইসবুকের পদক্ষেপকে “একেবারেই অপর্যাপ্ত” আখ্যা দিয়ে সামাজিক মাধ্যম বিশ্লেষক ও দলগুলোর মুখপাত্র ভিক্টোয়ের রিও বাজফিড নিউজ-কে বলেন, “মিয়ানমারে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধে তাদের যা করা উচিৎ ছিল ও তারা যা করতে পারত তার কাছাকাছি কিছুও তারা করেনি, আমাদের এ বিশ্বাস তারা দৃঢ় করেছে।”