হাজারো বাসস্থান উষ্ণ রাখবে ডেটা সেন্টার

ডেটা সেন্টার থেকে নির্গত বাড়তি তাপ পুনঃব্যবহার করে সুইডেনের স্টকহোমের হাজারো বাসস্থানে উষ্ণতার চাহিদা পূরণ করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে শহরটি।

আইরিন সুলতানাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2018, 01:19 PM
Updated : 9 April 2018, 01:19 PM

নরডিক ডেটা সেন্টার পরিচালক সংস্থা ডিজিপ্লেক্স এবং দেশটির প্রধান শক্তি সরবরাহকারী সংস্থা স্টকহোম এক্সার্জি একটি চুক্তির মাধ্যমে ১০ হাজার বাসস্থানে ডেটা সেন্টারের অতিরিক্ত তাপ সরবরাহ করতে যাচ্ছে। 

উদ্যোগী সংস্থাগুলো প্রযুক্তিবিষয়ক খবরের সাইট জেডডিনেটকে জানায় যে, ডেটা সেন্টার থেকে উৎপাদিত প্রচুর পরিমাণ তাপ পুনঃব্যবহার করার এই ধরনের চুক্তি বিশ্বে প্রথম। এই প্রক্রিয়ায় একটি পরোক্ষ বাষ্পীভবন সমৃদ্ধ বায়বীয় তাপ পরিবর্তক যন্ত্রের সঙ্গে ডেটা সেন্টারটিকে যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমেই তাপ সরবরাহ করা হবে শহরের তাপ গ্রিডে।

বিশ্বে উষ্ণায়ন বাড়ার কারণ ব্যাপক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ও শক্তির ব্যবহার। যে পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ঘটে তার দুই শতাংশের উৎস হচ্ছে এই ডেটা সেন্টারগুলো। শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তিন শতাংশ ভূমিকা রয়েছে ডেটা সেন্টারগুলোর। এই তথ্যের প্রেক্ষিতে ডিজিপ্লেক্স মনে করে, একটি উন্নত ডেটা সেন্টারের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সব রকম চেষ্টা করা জরুরি।

ডিজিপ্লেক্স প্রধান গিসলে ইকঅফ তার এক বক্তব্যে ডেটা সেন্টার সম্পর্কে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনে আমরা যেমন ভূমিকা রাখছি, এভাবে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত ডেটা সেন্টারগুলোও বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত তাপের নির্গমন ঘটায়।”

ইকঅফ-এর মতে, স্টকহোমের ডেটা সেন্টারের অতিরিক্ত তাপকে পুনঃব্যবহার করে মানুষের উষ্ণতার চাহিদা মেটানোর প্রক্রিয়াটি একটি অর্জন। আর এর বাস্তবায়নে স্টকহোম এক্সার্জির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়াকেও একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখেন তিনি।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে প্রায় ৯০ শতাংশ ভবনই শহরটির এই তাপ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

জেডডিনেটের ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ওই দু্ই সংস্থার মধ্যে হওয়া চুক্তিটি প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহারের মাধ্যমে শহরের সবুজ অভিযানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে শহরের মেয়র করিন ওয়ানগর্ড বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সঙ্গে ডিজিটালকরণকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

টেকসই ডেটা সেন্টারগুলোর জন্য স্টকহোমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই মেয়র বলেন,  “স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা সেন্টারের তাপ পুনঃব্যবহার করে মানুষের উত্তাপ চাহিদা পূরণ মূলত ২০৪০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করারই একটি অংশ।”