বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেইসবুক রোগীদের প্রোফাইল বানাতে ও হাসপাতালগুলোকে সহায়তা করতে চেয়েছিল। এই হাসপাতালগুলোর মধ্যে স্ট্যানফোর্ড মেডিকেল স্কুল এবং আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’র নাম রয়েছে। কোনো রোগীর কী ধরনের বিশেষ সেবা বা চিকিৎসা দরকার তা জানতেও এই তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হয়- খবর আইএএনএস-এর।
ফেইসবুকের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “ওই প্রকল্প পরিকল্পনার ধাপ পার হয়নি, আর আমরা কারও ডেটা সংগ্রহ, শেয়ার বা বিশ্লেষণ করিনি।”
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির বিবৃতিতে বলা হয়, “ফেইসবুক থেকে নেওয়া পরিচয় প্রকাশ না করা ডেটা চিকিৎসক সম্প্রদায়কে এ খাতে আমাদের ধারণা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে কিনা তা জানার জন্য ২০১৭ সালে ফেইসবুক শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল।”
ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে ফেইসবুকের সংগ্রহ করা বিশাল পরিমাণ ডেটা আর তা কীভাবে ব্যবহার করা হতে পারে সে বিষয়ে এই প্রকল্প নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।”
প্রযুক্তি সাইট ভার্জ ফেইসবুকের এক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে। ওই মুখপাত্র বলেন, “নির্দিষ্ট কারও স্বাস্থ্যসেবার জন্য কোনো ধরনের পরামর্শ দিতে এই প্রকল্পের চেষ্টা করা হয়নি। বরং সাধারণভাবে ভিতরের তথ্য আনার দিকে নজর ছিল যা চিকিৎসাখাতে পেশাদারদের সামাজিকভাবে সংযুক্ত হতে সহায়তা করতো, যেহেতু তারা রোগীদের চিকিৎসা ও এ বিষয়ে জ্ঞান প্রয়োগ করে থাকে।”
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে প্রায় ৮.৭০ কোটি ব্যবহারকারীর ডেটা বেহাত হয়ে থাকতে পারে বলে সম্প্রতি ধারণা প্রকাশ করেছে ফেইসবুক।
আরও খবর-