২০১৭ সালে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় গুগল। প্রতিষ্ঠানের ১৩টি ডেটা সেন্টার এবং অফিস কার্যালয়গুলোয় মোট যে পরিমাণ বিদ্যুত খরচ হয় নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস থেকে সে পরিমাণ বিদ্যুত কেনার লক্ষ্য ঠিক করে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ বায়ু এবং সৌর বিদ্যুত কিনছে তার পুরোটা ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট-আওয়ার বিদ্যুত চাহিদার জন্য এক কিলোওয়াট-আওয়ার নবায়নযোগ্য শক্তিই কেনে প্রতিষ্ঠানটি। এই শক্তি আসে গুগলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি বায়ু এবং সৌর বিদ্যুত প্লান্ট থেকে। কিন্ত প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি এখনও নবায়নযোগ্য শক্তিতে চলছে না।
প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে মোট যে পরিমাণ বিদ্যুত খরচ করে তার তুলনায় তাদের কেনা নবায়নযোগ্য শক্তির পরিমাণ বেশি-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জ-এর।
গুগল জানায়, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রকল্প থেকে বর্তমানে তিন গিগাওয়াট বিদ্যুত কেনার চুক্তি রয়েছে তাদের। কিন্তু আমাদের মতো “এই পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি দিয়ে চালানো এখনই সম্ভব নয়।”
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে প্রতিষ্ঠান চালানোর লক্ষ্যে কাজ করছে অ্যাপল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট এবং ফেইসবুকও। ইতোমধ্যেই অ্যাপলের নতুন সদর দপ্তর অ্যাপল পার্ক চলছে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে। ২০২০ সালের মধ্যে চার গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য শক্তি কাজে লাগানোর অঙ্গীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।