বর্তমানে রুয়ান্ডা-তে বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন দিয়ে রক্ত সরবরাহের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি নতুন একটি ড্রোন উন্মোচন করেছে জিপলাইন।
২০ কেজি ওজনের এই ড্রোনটি ১.৭৫ কেজি পর্যন্ত কার্গো বহন করতে পারে। আর দুইটি পার্কিংয়ের সমান জায়গায় মালামাল সরবরাহ করতে পারে ড্রোনগুলো, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
এবার মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি আয়োজিত একটি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় সরকার এবং বাণিজ্যিক খাতের মধ্যে অংশীদারিত্বে আয়োজন করা হচ্ছে ইউএএস ইন্টিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম।
পরীক্ষার জন্য কী কী প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হবে চলতি বছরের ৭ মে।
জিপলাইন প্রতিষ্ঠাতা কেনার ওয়াইরোবেক বলেন, ১০ মিটার পাখা নিয়ে নতুন ড্রোনটি প্রথাগত কোয়াড-কপ্টারের চেয়ে ‘যথেষ্ট দূরে’ উড়ে যেতে পারে।
একের অধিক মোটর রয়েছে ড্রোনটিতে, যাতে একটি কাজ না করলেও তা উড়ে যেতে পারে। প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১২৮ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে ড্রোনটি। আর ১৬০ কিলোমিটার রাউন্ডট্রিপ দিতে পারবে এটি।
ড্রোনের মধ্যে একটি ছোট বাক্সে রক্তের ব্যাগ কাগজের প্যারাস্যুট দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়। জিপলাইন প্রধান কেলের রিনাউডু বলেন, তারা পুরো ব্যবস্থাটি নতুন করে নকশা করেছেন, এর মধ্যে তাদের বন্টন কেন্দ্রও রয়েছে।
২০১৭ সালের তানজানিয়ায় সেবা চালু করার ঘোষণা দেয় জিপলাইন।