কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে ফেইসবুকের শীর্ষ কর্মকর্তারা যখন সমালোচক আর নীতিনির্ধারকদের চাপ সামলাতে ব্যস্ত, এমন সময়ে এই খবর প্রকাশ পেল।
যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটিতে বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী আর পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে গড় বৈষম্য ৪১.৫ শতাংশ। তবে ঘণ্টার হার তুলনা করলে গড় হিসাবে একজন পুরুষ কর্মী যে কাজের জন্য এক পাউন্ড বোনাস পাচ্ছেন ঠিক একই কাজে একজন নারী পাচ্ছেন ৯০ পেনি, খবর বিবিসি’র।
যুক্তরাজ্যে গুগলেও এমন বৈষম্য রয়েছে। তবে তা ফেইসবুকের তুলনায় অনেক কম। চলতি সপ্তাহের আগে প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগল-এর ক্ষেত্রে এই হার ১৬ শতাংশ।
যুকরাজ্যে ফেইসবুকের প্রায় ১৫০০ কর্মী কাজ করছেন।
ফেইসবুক জানিয়েছে, তাদের ৮৭.৮ শতাংশ পুরুষ কর্মী বোনাস অর্থ পেয়ে থাকেন, নারীদের ক্ষেত্রে অংকটা ৮৬.৩ শতাংশ।
কিন্তু কেন এই ব্যবধান?
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি বিবিসি-কে জানিয়েছে, এমন বড় ব্যবধানের কারণ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ের অন্যান্য খাতের চেয়ে প্রকৌশলী দল আর শীর্ষ নির্বাহীদের অধিকাংশ কর্মীই পুরুষ।
ফেইসবুকের ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য আর আফ্রিকা’র মানবসম্পদ বিভাগের ফিওনা মুলান বলেন, “অন্যান্য পদমর্যাদার তুলনায় কারিগরি পদগুলোতে অর্থ দেওয়ার হার বাজারে বেশি, এর কারণ হচ্ছে তাদের বিশেষায়িত দক্ষতা আর বাজারে তাদের দক্ষতার উচ্চ চাহিদা থাকা।”
“নেতৃত্বস্থানীয় পদগুলোর জন্যও একই বিষয় সত্য।”
কেমব্রিজ অ্যানালাটিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্রিটিশ এমপিদের সামনে হাজির হয়ে ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষায় ফেইসবুকের পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাখ্যা ডাকা হয়েছিল সোশাল জায়ান্টটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ-কে। কিন্তু ব্রিটিশ এমপিদের সামনে তিনি নিজে না গিয়ে ফেইসবুকের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাকে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।