নতুন ডিভাইসগুলোতে আইফোন X-এর মতো পর্দার ওপরের কিছুটা অংশ কেটে সেখানে বসানো হয়েছে সেলফি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সেন্সর। পর্দার এই কাটা অংশকে বলা হয় ‘নচ’। আইফোন X-এর চেয়ে কিছুটা ছোট নচ রাখা হয়েছে হুয়াওয়ে পি২০তে। গ্রাহক চাইলে সেটিংস থেকে এই নচ অপশনটি বন্ধ করেও রাখতে পারবেন।
আগের পি১০-এর মতোই পর্দার নিচে রাখা হয়েছে হোম বাটন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের পাশাপাশি নেভিগেশন বাটন হিসেবেও কাজ করবে এটি, বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট সিনেট-এর প্রতিবেদনে।
পি২০ ও পি২০ প্রো-এর স্পেসিফিকশনে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। ৫.৮ ইঞ্চি এলসিডি পর্দা রাখা হয়েছে পি২০-তে। আর ৬.১ ইঞ্চি ওলেড পর্দা রয়েছে পি২০ প্রো-তে। যথাক্রমে চার জিবি র্যামের সঙ্গে ৩৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ছয় জিবি র্যামের সঙ্গে ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি রাখা হয়েছে ডিভাইস দু’টিতে।
১২৮ জিবি স্টোরেজের অ্যান্ড্রয়েড ওরিও চালিত উভয় ডিভাইসেই রয়েছে ২.৩ গিগাহার্টজ অক্টা-কোর কিরিন ৯৭০ প্রসেসর।
ডিভাইস দু’টির মূল পার্থক্য দেখা গেছে এর ক্যামেরায়। পেছনে তিনটি ক্যামেরা রাখা হয়েছে পি২০ প্রোতে। এর মূল ক্যামেরাটি ৪০ মেগাপিক্সেল আরজিবি সেন্সর। এর সঙ্গে আট মেগাপিক্সেল টেলিফটো এবং ২০ মেগাপিক্সেল মোনোক্রোম লেন্স রয়েছে পি২০ প্রো-তে।
অন্যদিকে পি২০-এ ব্যবহার করা হয়েছে মূল ১২ মেগাপিক্সেল আরজিবি লেন্স এবং ২০ মেগাপিক্সেল মোনোক্রোম লেন্স। ২৪ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রাখা হয়েছে উভয় ডিভাইসে।
নতুন ক্যামেরায় সুপার স্লো মোশান ভিডিও, স্বল্প আলোতে ছবি ধারণের পাশাপাশি আনা হয়েছে পোর্টরেইট শট এবং পোর্টরেইট সেলফি। ৩এক্স অপটিকাল জুম এবং ৫এক্স হাইব্রিড জুম-এর সঙ্গে আরও অনেক সুবিধা রয়েছে এই ক্যামেরায়।
নতুন পি২০-এর বাজার মূল্য বলা হয়েছে ৮০০ মার্কিন ডলার। আর পি২০ প্রো-এর দাম হবে ১১১৫ ডলার।
পি২০ এবং পি২০ প্রো ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে পোর্শ ডিজাইন মেইট আরএস উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। নতুন এই ডিভাইসের পর্দার ভেতরেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।