ওয়েলিংটনের এক আদালতে দেওয়া রায়ে বলা হয়, কিম তার নিজের সম্পর্কে সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে থাকা সব তথ্য চেয়ে তিনি অনুরোধ করেছিলেন। এই অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আইন লঙ্ঘন করেছেন।
কিম ডটকম-কে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের মামলাটি আপিল আদালতে রয়েছে। হিউম্যান রাইটস রিভিউ ট্রাইবুন্যাল-এর দেওয়া সোমবারের রায়টি হস্তান্তরের মামলার জন্য সহায়ক হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
ডটকম বলেন, ২০১৫ সালে জুলাইয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। এক মাস পর তা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। ওই তথ্য মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা যেত বলে দাবি করেন তিনি।
হিউম্যান রাইটস ট্রাইবুন্যাল ডটকম-কে ‘৯০ হাজার নিউ জিল্যান্ড ডলার খতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজার নিউ জিল্যান্ড ডলারই ‘তার মর্যাদা ও অনুভূতিতে আঘাত হানার’ ক্ষতিপূরণ।
জার্মান বংশোদ্ভুত ডটকম মেগাআপলোড সাইট নিয়ে কপিরাইট মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর ঠেকাতে নিউ জিল্যান্ডে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে তিনি নিউ জিল্যান্ড সরকারের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে তাকে আটকের রেশ ধরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে শত শত কোটি ডলারের মামলা করেন। নিজের করা মামলায় কিম-এর দাবি, অকার্যকর একটি আটকের পরোয়ানা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বাতিল করে দিয়েছে। এখন তিনি তার মর্যাদা ও ব্যবসায়ে হওয়া ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চাইছেন।
উচ্চ আদালোতে দাখিল করা দলিলে কিম যে বিষয়গুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন, সেগুলো হচ্ছে- ২০১২ সাল থেকে হারানো ব্যবসায়ের সব সুযোগ, আইনি লড়াইয়ে তার খরচ, তার নেওয়া ভবন ভাড়ায় যে বিনিয়োগ করেছিলেন তার ক্ষতি, ওই ভবন কেনার সুযোগ হারানো আর মর্যাদাহানি।
আরও খবর-