অতঃপর গ্র্যাবের হাতে দক্ষিণপূর্ব এশীয় উবার

শেষ পর্যন্ত পূর্বধারণাই সত্যি প্রমাণিত হলো। সোমবার সকালেই গ্র্যাবের কাছে নিজেদের দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার শেয়ার বিক্রি করতে সম্মতির কথা প্রকাশ করেছে উবার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2018, 07:21 AM
Updated : 26 March 2018, 07:21 AM

এর মাধ্যমে এশিয়ার কোনো বাজার থেকে সরে আসার দ্বিতীয় নজির সৃষ্টি করলো অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবাদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

প্রায় ৬৪ কোটি মানুষের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বাজারে এই খাতে এটিই সবচেয়ে বড় একত্রীকরণ হতে যাচ্ছে। এর ফলে ইন্দোনেশীয় রাইড-হেইলিং প্রতিষ্ঠান গো-জ্যাক-এর উপর বাড়তি চাপ যোগ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। গো-জ্যাক-এর অর্থ তহবিলে অ্যালফাবেট অধীনস্থ গুগল আর চীনা টেনসেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেড-এর সমর্থন রয়েছে।

উবার-গ্র্যাব-এর এই চুক্তি নিয়ে গ্র্যাব প্রেসিডেন্ট মিং মা রয়টার্স-কে বলেন, “দুই প্রতিষ্ঠানেরই একদম স্বাধীন সিদ্ধান্ত।” তবে এক্ষেত্রে সফটব্যাংক প্রধান নির্বাহী মাসাইয়োশি সান “অত্যন্ত সহায়ক” ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে উবারের দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ব্যবসায় চলে যাবে গ্র্যাবের অধীনে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক গ্র্যাবে উবারের অধীনে থাকবে ২৭.৫ শতাংশ শেয়ার আর উবার প্রধান নির্বাহী দারা খাসরোশাহি গ্র্যাবের পরিচালনা পর্ষদে যোগ দেবেন।

খাসরোশাহি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা যেহেতু আমাদের পণ্য আর প্রযুক্তিতে অনেক বেশি নিয়োগ করছি সেক্ষেত্রে এটি উন্নতির জন্য আমাদের পরিকল্পনাকে দ্বিগুণ আগাতে সহায়তা করবে।”

উবারের এই ব্যবসয়ায়ের অংশ কেনার মাধ্যমে নিজেদের খাবার সরবরাহ সেবায় সহায়তা পাবে গ্র্যাব। এই ব্যবসায় এখন উবার ইটস-এর সঙ্গে একত্রীত হবে আর গো-জ্যাক এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে বলে জানিয়েছেন গ্র্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি।

এশিয়ায় রাইড-হেইলিং প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড় আর বিভিন্ন প্রচারণা অফারের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভের খাতা কখনোই স্বাস্থ্যবান ছিল না আর সেই চাপ গিয়ে পড়েছে একত্রীকরণের দিকে।

উবার ২০১৯ সালের মধ্যে শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৪৫০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। ইউরোপে নীতিনির্ধারণী চাপ আর তীব্র প্রতিযোগিতাও সামাল দিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ব্যবসায়ে উবার ৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি চীনের দিদি ছুসিংয়ের কাছে নিজেদের সেখানকার ব্যবসায় ছেড়ে দেওয়ার আগে তারা দুইশ’ কোটি ডলার খরচ করেছিল।