২০১৬ সালে ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর নির্বাচনী প্রচারণায় ফেইসবুকের প্রায় পাঁচ কোটি ব্যবহারকারীর ডেটা অপব্যবহার করা হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠার পর আলোচনার ঝড় তুলে বিষয়টি। এ নিয়ে ফেইসবুক মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়ে “ডিলিটফেইসবুক” হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করেন ফেইসবুকেরই মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন। এরপর টুইটারে এই হ্যাশট্যাগ ‘জনপ্রিয়’ হয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই হ্যাশট্যাগের বিষয়টি নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য “ভালো নয়” বলে মন্তব্য করেছেন জাকারবার্গ। যদিও এতে ফেইসবুকের এখনও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জাকারবার্গ বলেন, তিনি এই হ্যাশট্যাগ প্রচারণার বিষয়ে চিন্তিত। এর কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলছেন কিনা তা নিয়েও ভাবছেন তিনি।
জাকারবার্গ বলেন, “আমি মনে করি না আমরা উল্লেখযোগ্য কোনো সংখ্যার মানুষকে এমনটা করতে দেখেছি। কিন্তু, আপনি জানেন, এটি ভালো নয়।”
“আমি মনে করি এটি যে মানুষের আস্থার জন্য বড় একটি বিষয় তা স্পষ্ট আর আমি তা বুঝতে পারি। আর মানুষ এটি নিয়ে তাদের অ্যাপ মুছে ফেলবে বা ফেইসবুক ব্যবহারের আগের মতো ভালো বোধ করবে কিনা তা একটি বড় বিষয়। আর আমরা মনে করি এটি সংশোধনে আমাদের একটি দায় আছে।”
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই গবেষণা প্রতিহশঠান ম্যাকুয়েরি রিসার্চ এক বিবৃতিতে জানায়, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ফেইসবুক আর অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে মানুষের থাকা আস্থা সরিয়ে দিতে পারে। জাকারবার্গের মন্তব্যেও একই রকম সুর পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।