ফেইসবুক মুছে ফেলুন: হোয়াটসঅ্যাপ সহ-প্রতিষ্ঠাতা

নিজের টুইটার ফলোয়ারদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে ফেইসবুকেরই অধীনস্থ মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার এই মন্তব্য বোমা ছুড়েছেন তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2018, 09:51 AM
Updated : 21 March 2018, 09:51 AM

ওই টুইটে অ্যাকটন বলেন, “এটিই সময়।” এর সঙ্গে ‘ডিলিটফেইসবুক’ হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেন তিনি। অ্যাকটন-এর বর্তমান টুইটার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’তে।

২০১৪ সালে ফেইসবুক ১৯০০ কোটি ডলার মূল্যে সংকেতায়িত মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ-কে কিনে নেয়। এরপর কয়েক বছর অ্যাকটন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই ছিলেন। তবে, চলতি বছরের শুরুতে সেখান থেকে সরে এসে তিনি সিগন্যাল ফাউন্ডেশন নামের নতুন প্রতিষ্ঠান নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠায় তার সঙ্গে ছিলেন জান কোওম নামের একজনও। অ্যাপটির এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেইসঙ্গে তিনি ফেইসবুকের পরিচালনা পর্ষদেরও একজন সদস্য।

 

অ্যাকটন ২০০৯ সালে ফেইসবুকে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি প্রত্যাখ্যাত হন। ওই সময় তার করা এক টুইটে তিনি বলেন, “ফেইসবুক আমাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। চমৎকার কিছু মানুষের সঙ্গে মিশতে এটি একটি বড় সুযোগ ছিল। জীবনের পরবর্তী রোমাঞ্চের জন্য এবার সামনে তাকিয়ে আছি।” 

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর নির্বাচনে প্রচারণার কাজ করেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান। ফেইসবুকে ২০১৪ সালে এক কুইজ চালানো হয়েছিল। ওই কুইজে ২.৭০ লাখ ব্যবহারকারী অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীসহ মোট পাঁচ কোটি ব্যবহারকারীর ব্যবহারকারীর ডেটা এই কুইজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। ওই ডেটা যায় কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে। পরবর্তীতে নিজেদের নিয়ম বদলানোর পর ওই ডেটা ধ্বংসের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে আহ্বান জানায় ফেইসবুক। 

ব্যবহারকারীদের ওই ডেটা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প-এর প্রচারণায় ব্যবহার করেছিল বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে। নানা আলোচনার মধ্যে ফেইসবুক দাবি করে তারা এই ডেটা মুছে ফেলার দাবি করেছিল, কিন্তু ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠানটি ডেটার অপব্যবহার করেছে। তবে, ডেটা বেহাত হয়নি বলেও দাবি করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি।

অন্যদিকে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার দাবি ফেইসবুক বলার পর তারা ওই ডেটা মুছে ফেলেছিল আর তা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা হয়নি।

বিভিন্ন গণমাধ্যম আর নীতিনির্ধারক ইতোমধ্যে এই আলোচনা নিয়ে মুখর হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত পুরো কেলেঙ্কারির বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ। এর ফলে সমালোচকদের আরও উসকে দেওয়া হচ্ছে বলেই ভাষ্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির।