বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “আমরাও ভুল করেছি। এ বিষয়ে আমাদেরও করার কিছু ছিল।”
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণায় পরামর্শক হিসেবে কাজ করে লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। ট্রাম্পের প্রচারণার রসদ যোগাতে তারা পাঁচ কোটি ফেইসবুক গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য কাজে লাগায় বলে বেরিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ফোরের এক প্রতিবেদনে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে এ বিষয়সহ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারের কৌশল অবলম্বনের অভিযোগ তোলা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। ইতোমধ্যে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কার্যালয়ে তল্লাশি পরোয়ানা জারির আবেদনও হয়েছে আদালতে।
ফেইসবুক গ্রাহকদের তথ্য রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের হাতে কীভাবে গেল সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে জাকারবার্গকে তলব করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের তদন্ত কমিটি।
হাউজ অব কমন্সের তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ডেমিয়ান কলিন্স সোমবার জাকারবার্গকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘ভয়াবহ বিধি লংঘনের’ বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃত্বসম্পন্ন একজন ঊর্ধ্বতন ফেইসবুক নির্বাহীর বক্তব্য শোনার সময় হয়েছে।
আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে ফেইসবুক প্রধানকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে বিবিসির খবর।