ইতোমধ্যে গুগল প্লে স্টোর-এ এই অ্যাপ আনা হয়েছে। বর্তমানে শুধু ইন্দোনেশিয়া আর কেনিয়াতে এই অ্যাপের সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের আরও সহজে ডেটা প্যাক কিনতে ও কাছের হটস্পট খুঁজে পেতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ। এর আগে এক্সপ্রেস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে ব্যবহারকারীকে মোবাইল ডিভাইসের ওয়েব ব্রাউজার চালু করতে হতো বা স্থানীয় কোনো টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হতো। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের সেটিংস রিকনফিগার করতে বলা হয়। আর এতদিন চলে আসা এই দুই উপায়ের কোনোটিতেই ব্যবহারকারীকে আশপাশের হটস্পট খুঁজে দেওয়া হয় না, উল্লেখ করা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ-এর প্রতিবেদনে।
অ্যাপটি শুধু দুইটি দেশেই পাওয়া গেলেও, বর্তমানে স্থানীয় সেবা হিসেবে পাঁচটি দেশে এক্সপ্রেস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সেবা দিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি। এই দেশগুলো হচ্ছে- কেনিয়া, ভারত, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া আর ইন্দোনেশিয়া।
এই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের জন্য ফেইসবুক স্থানীয় যেসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ওয়াই-ফাইট হটস্পট পরিচালনা করছে সেগুলোর উপর নির্ভর করে। এই হটস্পটগুলো স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বা আইএসপিগুলোর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মানুষকে প্রচলিত ধীরগতির মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের চেয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
টেকক্রাঞ্চ-কে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, “স্থানীয় এক্সপ্রেস ওয়াই-ফাই হটস্পটগুলোর মাধ্যমে মানুষকে সাশ্রয়ী ও দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারের সহজ ও সুরক্ষিত আরেকটি উপায় দিতে গুগল প্লে স্টোর-এ এক্সপেস ওয়া-ফাই অ্যাপ ছাড়ছে ফেইসবুক।”