ক্লাউড প্রযুক্তির আর্থ-সামাজিক প্রভাব যাচাইয়ে সম্প্রতি ভারতের ১১ শহরে ২৭৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে এক সাথে জরিপ চালিয়েছে মাইক্রোসফট এবং থট আর্বিট্রেজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট(টারি)। দ্য ইকনোমিক টাইমসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ওই জরিপের ফলাফল।
ক্লাইড প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিপণন বাজারে সহজ প্রবেশ এবং লাভের সুযোগ করে নিতে পারে তিন গুণ বেশি।
ক্লাউডের ব্যবহার বাড়ালে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বিপণন বাণিজ্য ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে, ব্যবসায়ীক কার্যক্রমে এবং কর্মজীবনের ভারসাম্যে, গবেষণা থেকে এমন তথ্যই জানা যায়।
জরিপ অনুযায়ী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওরা বলছেন, ক্লাউড প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম ও কর্মীদের মাঝে আরো ভাল ভারসাম্য আনা গেছে।
গবেষণা থেকে জানা যায়, একটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্লাউড সেবা গ্রহণের দুই বছরের মধ্যেই বিভিন্ন খাতে উন্নতি দেখবে এমন সম্ভাবনা ৭৫ শতাংশেরও বেশি।
ক্লাউডের অন্যান্য সুবিধাগুলোর মধ্যে ছিল ব্যবসায়ীক কার্যক্রমের খরচ কমে আসা এবং অর্থ বৃদ্ধি।
ক্লাউডের ‘কার্যকারিতা এবং স্থিতিস্থাপকতা’ এর কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ প্রবাহে ৩০৮ শতাংশ পর্যন্ত উন্নতি পেতে পারে।
গবেষণা বলছে, “৯৬ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় ক্লাউড সেবা গ্রহণের দুই বছরের মাঝেই তাদের প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা খরচে আশাব্যঞ্জক প্রভাব পাওয়া গেছে, সময়ের সাথে সাথে এই খরচ স্থিতিশীল।”
নিরাপত্তা, ব্যবসায়ীক ধারাবাহিকতা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিয়ে ৮৬ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী মনে করেন ক্লাউড একটি নিরাপদ প্লাটফর্ম। তাদের অভিজ্ঞতায় ক্লাউডে গোপন তথ্য হারানোর ঝুঁকি তুলনামূলক কম।
“এইসব কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের ব্যবসায়ীক রূপান্তরে ক্লাউড প্রযুক্তির ইতিবাচক মান এবং উচ্চ প্রভাব দেখেছেন। এই গবেষণায় ডিজিটাল রূপান্তরের যে শক্তি তা পুনরায় উঠে এসেছে,” বলেন মাইক্রোসফট ভারতের সভাপতি আনান্ত মাহেশ্বরি।
জরিপটি থেকে আরো জানা যায়, ক্লাউড সেবা গ্রহণে কর্মীদের মানোন্নয়নেও বিশেষ দৃষ্টি দেয়া গেছে।
“ক্লাউড ব্যবহারের দুই বছরের মধ্যেই প্রায় ৯৪ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কম বিনিয়োগের পরও দক্ষ কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল।”
কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে এবং সার্বিক মানোন্নয়নে কোম্পানিগুলো আরো বিনিয়োগে ইচ্ছুক ছিল, যা কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।
ক্লাউড ব্যবহারে পিছিয়ে থাকলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ক্লাউডের প্রভাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এই উৎপাদনশীল পরিসর ক্লাউড সেবা নেয়ার দুই বছরের মধ্যেই প্রত্যাশিত ফলের সর্বোচ্চই পেয়েছে।
অন্যদিকে খুচরা, প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ এবং সেবা খাতগুলো আগেভাগেই ক্লাউড ব্যবহারকারী হওয়ায় এখন তারা লাভের মুখ দেখা শুরু করেছে।