মাস্ক-এর মঙ্গল যাত্রা ২০১৯ সালেই?

২০১৯ সালের শুরুর দিকেই মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠাতে নিজের প্রকল্প প্রথম মাইলফলক স্পর্শ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2018, 10:59 AM
Updated : 12 March 2018, 10:59 AM

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিনে সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট বা এসএক্সএসডাব্লিউ উৎসবে দর্শকদের সামনে এ কথা বলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর প্রধান। 

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বেসরকারি তহবিলে এই উদ্যোগ শুরু করেন মাস্ক। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যে মঙ্গলে একটি কার্গো পাঠানো। স্পেসএক্স-এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে মঙ্গলে মানব বসতি নির্মাণের বীজ বোনা।

আগে থেকে ঠিক করা না থলেও আয়োজনে এক প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন মাস্ক। এ পর্বে মার্কিন এই প্রকৌশলী ও ধনকুবের উপস্থিত দর্শকদের বলেন, “আমরা প্রথম মঙ্গলের বা আন্তগ্রহ শিপ বানাচ্ছি আর আমরা মনে করি এটি দিয়ে আমরা ছোটখাট ভ্রমণ করতে পারব, সামনের বছরের প্রথমার্ধের মধ্যেই প্রথম ফ্লাইট করা যাবে।”

“যদিও মাঝেমধ্যে আমরা... সময়সীমা কিছুটা কম, আপনারা জানেন…”- হাসতে হাসতে এ কথাও যোগ করেন তিনি। 

স্পেসএক্স-এর বিএফআর রকেট ব্যবস্থা আন্তগ্রহ ভ্রমণে ব্যবহার উপযোগী আর পুরোপুরি পুনঃব্যবহারযোগ্য বলে আশা করা হচ্ছে। এই রকেটে প্রতিটি ফ্লাইটে শুরুর দিকের ফ্যালকন ১ রকেটের ফ্লাইটের চেয়েও কম খরচ হবে। ফ্যালকন ১ -এর পুরো ফ্লাইট মাস্ক ৫০ থেকে ৬০ লাখ ডলারের মধ্যে সেরেছেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বিএফআর উৎক্ষেপণ করা হলে অন্যরাও বিশ্বাস করবে যে মঙ্গলে ভ্রমণ সম্ভব, আর তারা তখন এটি অনুসরণ করবে-- এমনটাই আশা মাস্ক-এর। তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় উপকারি যে বিষয়টি হবে তা হচ্ছে এর সাধারণ সমর্থন আর উৎসাহ এবং সদিচ্ছা। আমি মনে করি একবার আমরা এটি বানালে আমাদের প্রমাণ করার কিছু একটা থাকবে যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা দেশগুলো করতে পারে। তারা নিশ্চিতভাবে এটি সম্ভব মনে করে না, কিন্তু আমরা এটি করলে তারাও খেলায় নেমে যাবে।”

এই অভিযান নিয়ে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে মাস্ক বলেন, মঙ্গলে গ্লাস ডোম, একটি পাওয়ার স্টেশন, জীবনযাপনে মৌলিক চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে। অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে “তখন সত্যিই উদ্যোক্তাধর্মী সুযোগ বেড়ে যাবে, কারণ মঙ্গলে লোহা কারখানা থেকে শুরু করে পিৎজা তৈরির জায়গা সবই লাগবে।”

আরও খবর-