শিশু যৌনপীড়ন নিয়ে প্রশ্ন, ক্ষমাপ্রার্থী ফেইসবুক

জরিপে আপত্তিকর প্রশ্ন যোগ করায় ক্ষমা চেয়েছে ফেইসবুক। শিশুযৌনপীড়নমূলক উল্লিখিত কিছু আচরণ সমর্থন করে কী-না এমন প্রশ্ন ছিল ওই জরিপে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2018, 12:39 PM
Updated : 6 March 2018, 12:39 PM

ফেইসবুকের নীতিমালা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মতামত বুঝতে ছোট এই জরিপ চালানো হয় বলে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে সহিংসতা আর উগ্রপন্থী বিষয়েও প্রশ্ন ছিল। পাশাপাশি “একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি একজন ১৪ বছর বয়সী কিশোরীর কাছে মেসেজের মাধ্যমে যৌনতাপূর্ণ ছবি চাইলে” বিষয়টি ব্যবহারকারীরা কীভাবে নেবেন, এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় এই জরিপে। এতে দিয়ে দেওয়া সম্ভাব্য জবাবগুলোর অপশনে একটি জবাব ছিল- “এই কনটেন্টে ফেইসবুকের অনুমোদন দেওয়া উচিৎ, আর এতে আমি কিছু মনে করব না।”

এই প্রশ্নের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ফেইসবুক ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোজেন। নিজের করা টুইটে তিনি বলেন, এটি এই জরিপের অংশ হওয়া উচিৎ হয়নি।”

রোজেন বলেন, শিশু যৌন নিপীড়ন নিয়ে ফেইসবুকের অবস্থান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই জরিপ চালানো হয়নি। “আমরা যেভাবে নীতিমালা বানাই আমাদের সম্প্রদায় তা কীভাবে দেখে, এই বিষয়টি বুঝতে আমরা এই জরিপ চালিয়েছি। কিন্তু এই ধরনের কার্যক্রম ফেইসবুকে সবসময় পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ছিল ও থাকবে। এ ধরনের কিছু শনাক্ত হলে আমরা নিয়মিত তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এটি এই জরিপের অংশ হওয়া উচিৎ নয়। এটি ভুল ছিল”- মন্তব্য তার।

ফেইসবুকের আরেকটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিকটি। এতে ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা বুঝতে পেরেছি এটি এমন আক্রমণাত্মক কনটেন্টের দিকে নির্দেশ করে যা ইতোমধ্যে ফেইসবুকে নিষিদ্ধ আর এমন কিছুর অনুমোদন দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই, তাই আমরা এই জরিপ বন্ধ করে দিয়েছি।”

জরিপের প্রশ্নগুলোতে ব্যবহারকারীদেরকে এমন একটি আদর্শ বিশ্বের কথা কল্পনা করতে বলা হয় যেখানে তারা “ফেইসবুকের নীতিমালা বানাতে পারবেন”, উল্লেখ করা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ-এর প্রতিবেদনে। তারপর তারা যেসব কনটেন্ট দেখছেন তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট কিনা, নাকি তারা এগুলো অনুমোদন করবেন কিন্তু দেখতে চাইবেন না, নাকি প্ল্যাটফর্ম থেকে এই কনটেন্টগুলো নিষিদ্ধ করবেন তা জিজ্ঞাসা করা হয়। 

পরবর্তী প্রশ্নে এসব সিদ্ধান্ত কারা নেবেন- ফেইসবুক, ব্যবহারকারীরা নাকি বাইরের কোনো বিশেষজ্ঞ?- তাও জিজ্ঞাসা করা হয় ওই জরিপে।