চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া ইকোনমিক টাইম’স অফ ইন্ডিয়া-এর গ্লোবাল বিজনেস সামিট-এ ওজনিয়াক বলেন, “ব্লকচেইন প্রযুক্তি কার কাছে বিটকয়েন আছে তা শনাক্ত করে... তার মানে এই না যে এখানে প্রতারণা হতে পারে না। সাতটি বিটকয়েন জালিয়াতির মাধ্যমে আমার কাছ থেকে চুরি করা হয়েছে।”
“কেউ একজন একটি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে আমার থেকে এগুলো নিয়ে গেছে আর তারা ক্রেডিট কার্ড-এর লেনদেন বাতিল করে দিয়েছে। এটা এতটাই সহজ ছিল। চুরি হওয়া একটি ক্রেডিট কার্ড নাম্বার দিয়ে এই কাজগুলো করা হয়, ফলে আপনি এটি আর কখনও ফেরত পাবেন না”- বলেন এই প্রযুক্তি গুরু।
এক বিটকয়েনের দাম যখন সাতশ’ ডলার ছিল তখন তা কেনার কথা জানান ওজনিয়াক। বর্তমান বাজারের হিসাবে তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৭১,৪০০ ডলার হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভার্চুয়াল মুদ্রাবিষয়ক খবরের সাইট কয়েনডেস্ক-এর প্রতিবেদনে।
ওজনিয়াক এখনও একজন ক্রিপ্টোকারেন্সিবিষয়ক প্রবক্তা। ২০১৭ সালের শেষ পর্যন্ত তিনি তার বিটকয়েন বিনিয়োগ ধরে রেখেছিলেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে বিটকয়েন এমন একটি মুদ্রা যা সরকারগুলোর নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি গাণিতিক, খাঁটি আর এর এটি বদলে দেওয়া যায় না।”
চলতি বছর জানুয়ারিতে ওজনিয়াক জানান তিনি তার কাছে থাকা বিটকয়েনগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারণ শুধু পরীক্ষা করার জন্যই তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি বলেছি, ‘আমি তাদের মতো একজন হতে চাই না যারা এতে নজর রাখেন, নজর রাখেন আর সংখ্যা নিয়ে চিন্তায় ডুবে থাকেন।’ আমি আমার জীবনে এই ধরনের চিন্তা চাই না।”