নতুন এই চিপসেটের নাম হুয়াওয়ে ব্যালং ৫জি০১। এটি বিশ্বের প্রথম ৫জি-এর সব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চিপসেট বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বব্যাপী সেলুলার খাতের আদর্শ ঠিক করতে কাজ করা সংস্থা ৩জিপিপি ২০১৭ সালে ৫জি কীভাবে কাজ করা উচিৎ সে বিষয়ে মান ঠিক করে দিয়েছে। ৫জি-এর মানে হচ্ছে নতুন প্রজন্মের মোবাইল ইন্টারনেট যা ভবিষ্যতের স্বচালিত গাড়ি প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটযুক্ত শহরগুলোকে সহায়তা করতে পারবে।
হুয়াওয়ে’র দাবি এই চিপসেট সেকেন্ডে ২.৩ গিগাবিট পর্যন্ত ডাউনলোড গতিতে পৌঁছাতে পারবে, যা বর্তমান ৪জি নেটওয়ার্কের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দ্রুততর।
চিপসেট উন্মোচনের পর হুয়াওয়ের ভোক্তাপণ্য ব্যবসায়ের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড ইউ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বছরের শেষার্ধে নতুন এই চিপসেট দিয়ে একটি ৫জি স্মার্টফোন আনার লক্ষ্য নিয়েছে। তিনি বলেন, “চলতি বছরের তৃতীয় বা চতুর্থ প্রান্তিকের শেষে আমরা ৫জি স্মার্টফোন চিপসেট দিয়ে ৫জি স্মার্টফোন আনব। আর আমাদের অবকাঠামো, ৫জি অবকাঠামো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য পুরো প্রস্তুত।” তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ডিভাইস নির্মাতাদের জন্য ব্যালং ৫জি০১ চিপসেটের লাইসেন্স হুয়াওয়ে দেবে না বলেও জানান তিনি।
বর্তমান বাজারে মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়ালকম-এর এক্স৫০ নামের মডেম পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল ডিভাইসের জন্য বানানো এই মডেম সম্প্রতি সেকেন্ডে ৪.৫ গিগাবিট গতি উঠাতে সক্ষম হয়েছে। নতুন চিপসেট আনার মাধ্যমে হুয়াওয়ে কোয়ালকম-এর সঙ্গে পাল্লা দিতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন চিপ জায়ান্ট ইনটেল মাইক্রোসফট, ডেল, এইচপি আর লেনোভোর সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। ইনটেল-এর মডেম ব্যবহার করে ৫জি ইন্টারনেট চালাতে সক্ষম ল্যাপটপ বানানোর উদ্দেশ্যে এই চুক্তি করা হয়।