ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সেবাসহ আয়োজনের বিভিন্ন ব্যবস্থা এই হ্যাকিংয়ে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আয়োজকদের দাবি, তাদের পরিচালনা ব্যবস্থার কোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশ এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)-এর মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস বলেন, “পরিচালনা ব্যবস্থা সুরক্ষতি রাখা আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে যাচ্ছি না। আমাদের ব্যবস্থা যে সুরক্ষিত তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।”
আক্রমণের পেছনে কারা তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অ্যাডাম বলেন, “আমি নির্দিষ্টভাবে জানি না। কিন্তু সবচেয়ে ভালো আন্তর্জাতিক চর্চা থেকে বুঝতে পারি আক্রমণ নিয়ে আপনার কথা বলা উচিৎ নয়।”
আয়োজক দেশটির প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার ভেতরে এই উইন্টার অলিম্পিকস আয়োজিত হচ্ছে। এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার সম্পর্কটা বরাবরই শীতল। দেশ দুটি এখনও যুদ্ধের মধ্যেই আছে, যদিও ১৯৫০-১৯৫৩ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি চলছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
এই দুই দেশের দল ২০০৬ সালের পর এই প্রথম কোনো অলিম্পিক আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একসঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।
পিয়ংচ্যাং আয়োজক কমিটির মুখপাত্র সাং বাইক বলেন, “সব সমস্যা গতকাল সকালে সমাধান করে আগের অবস্থায় আনা হয়েছে। আমরা এই সমস্যার কারণ জানি এবং গেইমসের সময় এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আমরা আইওসি’র সঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা এর উৎস প্রকাশ করব না।”
এই আয়োজনে ডোপিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাশিয়াকে। উদ্বোধনের একদিন আগে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আয়োজনের অবকাঠামোতে করা কোনো সাইবার আক্রমণের রাশিয়াকে যুক্ত করে কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।