পরিধেয় ডিভাইসের বিদ্যুৎ আসবে শরীর থেকেই  

পরিধেয় ডিভাইসের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আসবে ব্যবহারকারীর শরীর থেকেই।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2018, 02:31 PM
Updated : 11 Feb 2018, 02:31 PM

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অ্যাট বাফেলো, নিউ ইয়র্ক আর চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স (সিএএস)-এর গবেষকরা একটি ধাতব ট্যাব বানিয়েছেন। এই ট্যাব মানবশরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ব্যবহারকারীর আঙ্গুল ভাঁজ করা বা অন্যান্য নড়াচড়ায় এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।   

এই ট্যাবটি হচ্ছে একটি ট্রাইবোইলেকট্রিক ন্যানোজেনারেটর। এটি যান্ত্রিক শক্তিকে ইলেকট্রনিক্যাল ডিভাইসগুলোর জন্য বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত করতে পারে।

ইউনিভার্সিটি অ্যাট বাফেলো’র সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা প্রধান কিয়াওকিয়াং গ্যান বলেন, “মানবশরীর শক্তির একটি বড় উৎস। আমরা মনে করেছি- ‘কেন আমরা একে আমাদের নিজেদের শক্তি তৈরিতে ব্যবহার করব না?’”

ন্যানো এনার্জি জার্নালে এই ট্যাবের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এই ট্যাবে সোনার দুটি পাতলা স্তর আছে। এই দুটি স্তরের মাঝে রাখা আছে পলিডাইমিথাইলজিলোক্স্যান। একে পিডিএমএস-ও বলা হয়, এটি হচ্ছে কনটাক্ট লেন্স বা অন্যান্য পণ্যে ব্যবহৃত সিলিকনভিত্তিক একটি পলিমার। একটি আঙ্গুল যদি ভাঁজ হয় তখন গতিটি সোনার স্তর আর পিডিএমএস-এর মধ্যে ঘর্ষণ তৈরি করে।

আইওপি-এর পধ্যাপক ইয়ান শু বলেন, “যত বেশি ঘর্ষণ হবে তত বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।”

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেড় সেন্টিমিটার লম্বা ও এক সেন্টিমিটার প্রস্থের এই ট্যাব সর্বোচ্চ ১২৪ ভোল্টের ১০ মাইক্রোঅ্যাম্প বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে পারবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের সর্বোচ্চ ঘনত্ব হবে প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ০.২২ মিলিওয়াট।

এটি একটি স্মার্টফোনকে দ্রুত চার্জ করতে যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে। কিন্তু এটি একাধারে ৪৮টি এলইডি লাইট জাল্বাতে সক্ষম।

বিদ্যুৎ প্রবাহ বাড়াতে গবেষক দলটি  সোনার বড় টুকরা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। সেই সঙ্গে এই ট্যাব থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সংরক্ষণের জন্য একটি বহনযোগ্য ব্যাটারি বানানোর চেষ্টাও করবেন তারা।