ফেইকঅ্যাপ নামের নতুন এক টুল দিয়ে পর্নোগ্রাফিক ভিডিওতে তারকাদের চেহারা বসিয়ে বানানো ভুয়া পর্ন নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা উঠেছে। এই ভুয়া পর্নোগ্রাফিক ভিডিওগুলোকে ‘ডিপফেইক’ নাম দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ধরনের ভিডিওগুলো শনাক্ত করে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনটেন্ট হোস্টিং সাইট জিফিক্যাট। এমন কনটেন্ট সরানো ও নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে টুইটার আর পর্নহাবও। রেডিটে এ ধরনের ভিডিও এতদিন দেখা যাচ্ছিল, অবশেষে এ নিয়ে পদক্ষেপ নিলো সামাজিক মাধ্যমটি।
সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাটফর্মে সংখ্যালঘু বিষয়ে নীতিমালাও নতুন করে সাজিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, রেডিট এখনও ফেইকঅ্যাপ সফটওয়্যার দিয়ে বানানো নগ্নতাবিহীন কনটেন্টগুলো কেবল রাখছে। এই সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে একটি অনলাইন ফোরাম খোলা হয়েছে।
ডিপফেইকস নিয়ে খোলা একটি সাবরেডিট-এর ৯১ হাজারেরও বেশি গ্রাহক ছিল। সে ফোরামটি মুছে ফেলা হয়েছে। সাত বছর ধরে থাকা ভুয়া ছবি প্রকাশভিত্তিক ফোরাম সেলেবফেইকস-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই কনটেন্ট নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় রেডিট ব্যবহারকারীরা দুই ভাগ হয়ে গিয়েছেন। এক ব্যবহারকারী বলেন, “অনেকেই মনে করেন রেডিট তার সীমা অতিক্রম করছে আর এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে।” কোনো প্রতিষ্ঠানই নিজেদের শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগ নিতে চাইবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে এই পদক্ষেপের ফলাফল বুমেরাং হতে পারে বলেও মত দিয়েছেন একজন।
আরও খবর