আইফোনে ধীর গতি: তদন্তে মার্কিন সংস্থা

আইফোনে ধীর গতি আনার বিষয়টি প্রকাশ করায় এতে নিরাপত্তাজনিত কোনো আইন ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস ও সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2018, 04:31 PM
Updated : 31 Jan 2018, 04:31 PM

বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপলের কাছে তথ্য চেয়েছে দেশটির সরকার।

চলতি মাসে রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসায়িক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন মার্কিন সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান। আর ধীর গতির বিষয়টি ফাঁস করায় অ্যাপলকে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি পুরানো আইফোনগুলোতে ধীর গতি আনার বিষয় স্বীকার করে অ্যাপল। পরবর্তীতে এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

এ কারণে প্রায় ৫০টি ক্লাস অ্যাকশন মামলা করা হয় অ্যাপলের বিরুদ্ধে। ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ হল এমন এক মামলা যেখানে বাদীপক্ষ একজন হলেও তিনি একই ধরনের ঘটনার শিকার অনেকের প্রতিনিধিত্ব করেন ও মামলার রায় ভুক্তভোগী সবার জন্যই প্রযোজ্য হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান হোসে’র ফেডরেল আদালতে বেশির ভাগ মামলা করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে অ্যাপলের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়।

মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ও ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমানো বন্ধ করার দাবি করা হয়েছে। আর এ কারণে ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে তা প্রকাশ কর হয়নি।

পরবর্তীতে গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চেয়ে কম মূল্যে আইফোনের ব্যাটারি পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় দেয় অ্যাপল।

আগের মাসে আইফোনে ধীর গতির কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে অ্যাপল জানায়, তাদের অ্যালগরিদম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ব্যাটারিতে চার্জ কম থাকলেও ডিভাইসটি পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে সন্তোষজনক কার্যক্ষমতা দিতে পারে।

এর ফলে কিছু গ্রাহক ধারণা করেছেন, তারা যাতে নতুন আইফোনে আপগ্রেড করেন সে কারণেই পুরানো আইফোনে ধীর গতি আনা হয়েছে।

এর আগে রেডিট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক বছর ব্যবহারের পর প্রসসরের ক্লক স্পিড কমিয়ে দেয় আইফোন। এটি অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছে বলে জানানো হয়।

জবাবে সিনবিসি-কে অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গ্রাহকদেরকে সবচেয়ে ভালো কার্যক্ষমতা দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য, এর মধ্যে সার্বিক কার্যক্ষমতা ও ডিভাইস দীর্ঘস্থায়ী করার বিষয় রয়েছে। শীতল আবহাওয়ায় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি চাহিদার থেকে কম শক্তি সরবরাহ করে, অনেকদিন ব্যবহারের পর ব্যাটারির চার্জ কম থাকে, যার কারণে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশগুলো রক্ষা করতে ডিভাইসটি অনাকাংক্ষিতভাবে বন্ধ হয়ে যায়।”