৪২.৫ কোটি ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকড

হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে জাপানের টোকিওভিত্তিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কয়েনচেক। ডিজিটাল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি একটি বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2018, 10:55 AM
Updated : 28 Jan 2018, 10:55 AM

এই ঘটনায় গ্রাহকদের হারানো ৪৬৩০ কোটি ইয়েন বা ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে রোববার জানিয়েছে কয়েনচেকক। অংকটা শুক্রবার সাইবার আক্রমণে প্রতিষ্ঠানটির হারানো ৫৮০০ কোটি ইয়েন মূল্যের এনইএম-এর প্রায় ৯০ শতাংশের সমান। এনইএম হচ্ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা বিটকয়েনের মতো আরেকটি ভার্চুয়াল মুদ্রা।

ওই আক্রমণের পর প্রতিষ্ঠানটি বিটকয়েন ছাড়া সব ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি তোলা বন্ধে বাধ্য হয়েছে।

এক বিবৃতিতে কয়েনচেক-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা প্রায় ২,৬০,০০০ জন এনইএম মালিককে তাদের অর্থ জাপানি ইয়েনে ফেরত দেবে। যদিও কবে আর কীভাবে এই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখনও কাজ করছে।

বিটকয়েন আর অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে থাকা নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক উদ্বেগে এই হ্যাকিং নতুন মাত্রা যোগ করলো।

রয়টার্স-এর প্রতিবেদন মতে এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই সূত্র বলেছে, জাপানের ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এজেন্সি (এফএসএ) ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময় করে দেশটির এমন প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। এই বার্তায় সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণগুলো নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে ও তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আর্থিক পর্যবেক্ষক সংস্থাটি আর্থিক মীমাংসা আইনে কয়েনচেক-কে শাস্তি দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। 

শুক্রবারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে কয়েনচেক বলেছে, এনইএম মুদ্রাগুলো অধিক নিরাপত্তার ‘কোল্ড ওয়ালেট’-এ না রেখে কম নিরাপত্তার একটি ‘হট ওয়ালেটে’ রাখা হয়েছিল। কেন এটি করা হয় তা জিজ্ঞাসা করা হলে প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্ট কোইচিরো ওয়াদা বলেন, কারিগরি সমস্যা আর এগুলো ব্যবস্থাপনায় দক্ষ কর্মীর অভাব ছিল।