প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ৬,৭৭,৭৭৫ জন ব্যবহারকারীকে মেইল করবে, এই ব্যবহারকারীরা নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সি (আইআরএ)-এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অ্যাকাউন্টগুলো ফলো করতেন বা সেগুলোর কনটেন্ট রিটুইট করেছেন বা লাইক দিয়েছেন।
আইআরএ হচ্ছে একটি রুশ সংস্থা। আইনপ্রণেতা আর গবেষকদের তথ্যমতে, এই সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে রুশ সমর্থিত কনটেন্ট ছড়াতে কয়েকশ’ মানুষকে নিয়োগ দিয়েছে, বলা হয় রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
ইতোমধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলো বাতিল করে দেওয়ায় সাইটটিতে এ ধরনের কনটেন্ট আর নেই বলে দাবি টুইটারের। বুধবার টুইটার কর্মকর্তারা মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেন, তারা হয়তো রুশ প্রজ্ঞাপন নিয়ে ব্যবহারকারীদের জানাবে।
এর আগে সেপটেম্বরে টুইটার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি দুইশ’রও বেশি রুশ সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব রাখতে রাশিয়া সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেছিল, এমন অভিযোগ নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বরে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন ফেইসবুক, টুইটার আর গুগলের আইনজীবীরা। সিনেটের প্যানেলে এই তিন প্রতিষ্ঠান অপরাধ আর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কঠিন সব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে। এক্ষেত্রে রুশ অর্থে কেনা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলো কেন তাদের চোখ এড়িয়ে গেল তাও জিজ্ঞাসা করা হয়।