ট্রাম্পের টুইট না সরানোর ব্যাখ্যায় টুইটার

টুইটারে বিশ্বনেতাদের অ্যাকাউন্টগুলোর রয়েছে বিশেষ মর্যাদা, শুক্রবার এমন বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করলো মাইক্রোব্লগিং সাইটটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2018, 11:07 AM
Updated : 6 Jan 2018, 11:07 AM

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর এক টুইট নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক শুরু হয়। ট্রাম্প-এর অ্যাকাউন্ট বাতিল করার দাবিও জানান অনেক টুইটার ব্যবহারকারী। এরই জের ধরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এলো।

টুইটারের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “টুইটার থেকে একজন বিশ্বনেতাকে ব্লক করলে বা তার বিতর্কিত টুইটগুলো সরিয়ে নিলে, মানুষের দেখতে পাওয়া উচিৎ ও আলোচনা করা উচিৎ এমন তথ্য লুকানো হবে।”

এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো টুইট বা অ্যাকাউন্ট সরানোর আগে তার ‘সংবাদ হওয়ার যোগ্যতা’ বা এ নিয়ে ‘মানুষের আগ্রহ’ কেমন তা বিবেচনা করা হয়।

খ্রিস্টীয় নববর্ষের ভাষণে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন যুক্তরাষ্ট্রে ফের পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে বলেন, পারমাণবিক বোমা ছোড়ার একটি বোতাম সবসময় তার ডেস্কেই থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তার কাছেও পারমাণবিক বোমার বোতাম থাকে, আর তা কিমেরটার চেয়েও বড় এবং বেশি শক্তিশালী।

“ক্ষয়ে যাওয়া এবং খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকা (উত্তর কোরীয়) শাসনব্যবস্থার কেউ কি তাকে (কিম) দয়া করে বলবেন, আমারও একটি পারমাণবিক বোতাম আছে; এটি তার বোতামের চেয়ে অনেক বড় এবং বেশি শক্তিশালী। আমার বোতাম কাজও করে,” টুইটে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এই টুইট নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন হুমকি দেওয়া এই টুইট টুইটারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ উঠে।

টুইটারের আপডেট করা সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী, “কোনো ব্যক্তি বা দলের গুরুতর শারীরিক ক্ষতি,মৃত্যু বা রোগের কামনা করে বা সহিংসতার নির্দিষ্ট হুমকি আপনি দিতে পারেন না।” কিন্তু টুইটারে ট্রাম্পের হুমকি নিয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি বলেছে, তারা এই বিষয়টি যাচাই করে দেখেছে আর “নিপীড়নমূলক আচরণের বিরুদ্ধে টুইটারের নীতিমালার কোনো লঙ্ঘন খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

এ নিয়ে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রানসিসকোতে টুইটার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেছেন কেউ কেউ।

কোনো একজন বিশ্বনেতাকে ব্লক করে দিলেই তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য টুইটারের।

টুইটারের বিবৃতি নিয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও, কেউ আবার একে ‘দুই নীতি মেনে চলা’ বলে সমালোচনা করেছেন।

আরও খবর-