ট্রাম্পের টুইট কেন সরানো হলো না?

পারমাণবিক বোমার বোতাম নিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাকযুদ্ধ ইতোমধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছে। এমন তর্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের শংকাও বেড়েছে অনেকের। টুইটারে ট্রাম্পের করা মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমটি থেকে কেন সরানো হলো না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2018, 12:10 PM
Updated : 4 Jan 2018, 12:10 PM

খ্রিস্টীয় নববর্ষের ভাষণে কিম যুক্তরাষ্ট্রে ফের পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে বলেন, পারমাণবিক বোমা ছোড়ার একটি বোতাম সবসময় তার ডেস্কেই থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তার কাছেও পারমাণবিক বোমার বোতাম থাকে, আর তা কিমেরটার চেয়েও বড় এবং বেশি শক্তিশালী।

“ক্ষয়ে যাওয়া এবং খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকা (উত্তর কোরীয়) শাসনব্যবস্থার কেউ কি তাকে (কিম) দয়া করে বলবেন, আমারও একটি পারমাণবিক বোতাম আছে; এটি তার বোতামের চেয়ে অনেক বড় এবং বেশি শক্তিশালী। আমার বোতাম কাজও করে,” টুইটে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এই টুইট নিয়ে টুইটারে অভিযোগ করেছেন কিছু ব্যবহারকারী। যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন হুমকি দেওয়া এই টুইট টুইটারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে বলে দাবি তাদের, খবর আইএএনএস-এর। 

টুইটারের আপডেট করা সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী, “কোনো ব্যক্তি বা দলের গুরুতর শারীরিক ক্ষতি,মৃত্যু বা রোগের কামনা করে বা সহিংসতার নির্দিষ্ট হুমকি আপনি দিতে পারেন না।”

কিন্তু টুইটারে ট্রাম্পের হুমকি নিয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি বলেছে, তারা এই বিষয়টি যাচাই করে দেখেছে আর “নিপীড়নমূলক আচরণের বিরুদ্ধে টুইটারের নীতিমালার কোনো লঙ্ঘন খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, মাঝেমধ্যে কোনো টুইট নিপীড়নমূলক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বড় আলাপচারিতার অংশ হিসেবে দেখলে এটি এমন নাও মনে হতে পারে। 

প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প যাই পোস্ট করুন না কেন টুইটারের নীতিমালা এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না, কারণ তিনি কে এবং তার বিবৃতির ‘সংবাদ হওয়ার যোগ্যতা’র বিষয় বিবেচনা করা হয়।