বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর কুকের আয় হয়েছে মোট ১২৮২৫০৬৬ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি।
হিসেবে দেখা যাচ্ছে টিম কুকের আয় ২০১৫ সালে ছিল একে কোটি দুই লাখ ডলার যা গত বছর কমে গিয়ে ৮৭ লাখ ডলারের বেশি। সেখান থেকে এ বছর ৪৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ডলার।
এই হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে বাজারে অ্যাপল শেয়ারের মূল্য। এ বছর টিম কুকের মূল বেতন ছিল ৩০ লাখ ডলারের বেশি যা গত বছরের প্রায় সমান।
টিম কুকের বেতনের একটি অংশ, যেটি তার ‘বেস স্যালারি’, সেটি আসে নির্ধারিত অঙ্কে আর বাকিটা আসে বাজারে অ্যাপল শেয়ারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। এ বছর অ্যাপল শেয়ারের মূল্য গত বছরের তুলনায় ৩৬.৭ শতাংশ বাড়ার প্রভাব পরেছে টিম কুকের মোট বেতনে।
বুধবার সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-এর কাছে আয়ের হিসাব জমা দিয়েছে অ্যাপল। প্রত্যাশার চেয়ে বিক্রি বেশি হওয়ায় আয় বেড়েছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির।
কুকের বেশির ভাগ আয় এসেছে ‘নন-ইকুইটি ইনসেনটিভ প্ল্যান’ থেকে। শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীদের নগদ বোনাস দেওয়া হয় এই পরিকল্পনার আওতায়। এর থেকে কুকের আয় হয়েছে ৯৩২২৭০০০ মার্কিন ডলার। আগের বছর এখান থেকে তার আয় হয়েছিল ৫৩৭০০০০ ডলার।
অ্যাপল নির্বাহীদের ক্ষতিপূরণ প্রোগ্রাম এমনভাবে নকশা করা যেখানে প্রতিষ্ঠান যখন ভালো অবস্থানে থাকে তখন তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। আর যখন প্রতিষ্ঠানের আয় কমে তখন তাদের থেকে অর্থ কেটে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে অ্যাপল তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারায় নির্বাহীদেরকে ইনটেনসিভ প্ল্যানের আয়ের ৮৯.৫ শতাংশ পরিশোধ করা হয়।
চলতি বছর শীর্ষস্থানীয় কর্মীরা এই খাত থেকে তাদের আয়ের ১৫৫.৫ শতাংশ পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ বছর অ্যাপলের মোট বিক্রি বলা হয়েছে ২২৯২০ কোটি মার্কিন ডলার। আর পরিচালন আয় হয়েছে ৬১৩০ কোটি।