সাইবার খাতকে শুদ্ধ রাখতে সরকারের এমন প্রচেষ্টাকে দেশটির অধিকাংশ জনগণ সমর্থন করে, এমনটাই জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া।
পাঁচ বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশটির সরকার ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর মাধ্যমে বাকস্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হচ্ছে আর শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সমালোচকদের।
এদিকে চীনা সরকারের দাবি, সব দেশই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের নীতিমালা দেশের নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা আর পর্নোগ্রাফি ও সহিংস কনটেন্ট ছড়ানোর বন্ধের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।
১৩ হাজারের বেশি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে আরেকটি তথ্য হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রায় এক কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংবাদ সংস্থাটি। এই অ্যাকাউন্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া না হলেও এগুলো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেরই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
শিনহুয়া’র তথ্যমতে, এক জরিপের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনায় সরকারের নেওয়া প্রচেষ্টায় সমর্থন জানিয়েছে। এর মধ্যে ৬৩.৫ শতাংশ বিশ্বাস করেন সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্ট নিশ্চিতভাবে কমেছে।
চীনা পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটি’র ভাইস চেয়ারম্যান ওয়্যাং শেংজুন বলেন, “এই পদক্ষেপগুলোর প্রতিবন্ধকতা প্রভাব সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে।”
এ ছাড়াও শিনহুয়া জানিয়েছে, শেষ পাঁচ বছরে আসল নাম ব্যবহার করতে রাজি না হওয়ায় আলাদা এক কোটিরও বেশি মানুষের ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়েছে।