সমালোচনা স্বীকার করেই ফেইসবুকের জবাব

মানুষের আচরণ আর আবেগ প্রকাশের ধরণ বদলে দিচ্ছে ফেইসবুক আর এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো- গবেষক আর প্রযুক্তি খাতের বিভিন্নজনের এমন সমালোচনার বিপরীতে শুক্রবার জবাব দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2017, 10:25 AM
Updated : 16 Dec 2017, 10:25 AM

এক ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি বলে, সামাজিক মাধ্যম মানুষের ভালোর জন্যও হতে পারে যদি তারা প্রযুক্তিকে এমন উপায়ে ব্যবহার করে যা সক্রিয়, যেমন- শুধুই নিউজ ফিড স্ক্রল করে মানুষের পোস্ট না দেখে বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করা।

চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নিজেদের ব্যবসায়িক মডেলকে সমর্থন করে বিবৃতি দিল ফেইসবুক, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

সম্প্রতি ফেইসবুকের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা চামাথ পালিহাপিতিয়া এক সম্মেলনে প্রকাশ্যে ‘আমাদের সামাজিক কাজ’ ধ্বংসে ফেইসবুককে দোষ দেন। তার জবাবে ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাবেক ওই কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন ছয় বছর হয়ে গেছে আর সাম্প্রতিক সময়ে অবস্থা উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির চেষ্টার সঙ্গে তিনি পরিচিত নন।

ব্যবহারকারীদের আসক্ত করা ও সমাজবিরোধী আচরণ প্রচার করছে বলে অনুভূত হওয়ায় সম্প্রতি ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপ আর ইউটিউব-এর মতো অনলাইন সেবাগুলো সমালোচনার মুখে পড়েছে। চলতি বছর মার্চে মার্কিন গবেষকরা জানতে পারেন, প্রতিদিন অত্যন্ত দুই ঘণ্টা এ ধরনের সেবা ব্যবহার সামাজিক বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত। 

‘টাইম ওয়েল স্পেন্ট’ নামের এক অলাভজনক সংস্থা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণে চেষ্টা করে এমন পণ্যগুলো সরাতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপ দিচ্ছে। 

নিজেদের ব্লগপোস্টে এ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণাকে ‘বাধ্যকারী গবেষণা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব স্বীকার করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে দুটি অ্যাকাডেমিক গবেষণার কথা উদ্ধৃত করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই গবেষণাগুলোই ‘পুরো কাহিনী নয়’। সামাজিক মাধ্যমের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে অতিরঞ্জিত করে বলা হয় আর ঠিকভাবে ব্যবহার করলে সামাজিক মাধ্যম থেকে উপকার আসতে পারে- বিভিন্ন গবেষণায় এমন তথ্য আসার কথাও পোস্টে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্ক, যুব উন্নয়ন আর সামাজিক কল্যাণে গবেষণায় ফেইসবুক ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করছে।