বিটকয়েনে নিজেদের সেই বিনিয়োগ দান করে দিয়েছেন ক্যান্সার গবেষণায়।
ফেইসবুক থেকে শুরু করে ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা- প্রযুক্তি খাতের নানা বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে এই দম্পতির, এমনটাই বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে। তারা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ২০১৩ সালে বিটকয়েন খাতে নিজেদের করা পুরো বিনিয়োগ তারা ক্যান্সার গবেষণায় দান করে দিয়েছেন, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনায় এমইউএসসি হোল্ডিংস ক্যান্সার সেন্টার-এ এই দান করা হয়।
টেকো বলেন, “আমরা এটা (বিটকয়েনে করা বিনিয়োগ) ভুলেই গিয়েছিলাম আর এ বছরই এটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠলো।” কিন্তু বিনিয়োগ করা এই বিটকয়েনের মূল্য ঠিক কতো তা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
টেকো বলেন, তারা শুরুতে ‘মূলত কৌতুহলের কারণে আর নিজেদের বিনিয়োগে ভিন্নতা আনতে’ এই ভার্চুয়াল মুদ্রায় বিনিয়োগ করেছিলেন।
তারা যখন বিটকয়েনে বিনিয়োগ করেন সে সময় প্রতিটি বিটকয়েনের দাম প্রায় আটশ’ ডলার করে ছিল বলে জানিয়েছেন টেকো। আর চলতি সপ্তাহে ইতোমধ্যে এই মূল্য ১৭ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে।
হ্যামারব্যাচার আগে ফেইসবুকের একজন ডেটা বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি মাউন্ট সিনাই-তে একটি গবেষণাগার পরিচালনা করছেন। তার স্ত্রী টেকো ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিষয়ক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান রক হেলথ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। দুইজনে মিলে টেকহ্যামার নামের একটি তহবিল পরিচালনা করেন।
জনহিতৈষী কাজে নিজেদের বিটকয়েন বিনিয়োগ দান করার কথা প্রকাশ্যে বলার মাধ্যমে অন্যদেরও এ ধরনের কাজে উৎসাহিত করা যাবে বলেও মত দেন টেকো। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি আমরা স্রেফ প্রথম।”