হয়রানি নীতিমালা প্রকাশ করলো ফেইসবুক

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সহায়তায় নিজেদের কর্মক্ষেত্রের হয়রানিবিষয়ক নীতিমালা প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2017, 01:15 PM
Updated : 12 Dec 2017, 01:15 PM

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ সম্প্রতি এ বিষয়ে কথা বলেন।

ফেইসবুকের নীতিমালায় হয়রানি বলতে অবাঞ্ছিত যৌন সুবিধা নেওয়া, হুমকি, অন্যের অনুভূতি অবজ্ঞা করে করা কৌতুক আর কটাক্ষকে বোঝানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অ্যালকোহলের প্রভাবে বা কৌতুক করার কথা বলে কোনো আক্রমণাত্মক মন্তব্য করার পক্ষে সমর্থন দেওয়া যায় না। আর হয়রানির বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযোগ করা উচিৎ বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

এই অভিযোগ দাখিলের পর একটি দল অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করবে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ওই দলের হাতে নয়। কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া থেকে শুরু করে অভিযুক্ত কর্মীকে বহিষ্কার করা- চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এমন যে কোনো কিছুই আসতে পারে বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কোনো কর্মীর কোনো আচরণ রাষ্ট্রের আইনবিরোধী না হলেও তিনি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন বলে বিবেচিত হতে পারেন।

কোনো প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে নীতিমালা বানানোর সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিৎ তা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছে ফেইসবুক। এগুলোর মধ্যে আছে- সহকর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন কিনা, অভিবাদন জানানোর যথাযথ উপায় কী হবে আর ব্যবস্থাপকরা কর্মীদের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত থাকা উচিৎ কিনা।

স্যান্ডবার্গ বলেন, বিষয়টা এমন নয় যে ফেইসবুক বিশ্বাস করে এই নীতিমালা ‘পুরোপুরি সঠিক।’ নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “যত বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের নীতিমালা প্রকাশ করবে, ততই আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারব।”

এর আগে স্যান্ডবার্গ তার কর্মজীবনে যৌন হয়রানির মুখে পড়ার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। এক বৈঠকের সময় তার পায়ে কারও হাত দেওয়া থেকে শুরু করে ডিনারে যাওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় একটি কক্ষে নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকার আগ পর্যন্ত এক ব্যক্তি তার হোটেল রুমের দরজায় আঘাত করছিলেন- এমন নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে তার।   

তিনি বলেন, “এদের কারও জন্যই আমি কাজ করিনি। কিন্তু প্রতিটি সময়ই তারা আমার চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর ছিলেন। এটি কাকতালীয় নয়।”