এতে আরও জানা যায়, ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩১ শতাংশের মতো কিশোরী অনাকাংক্ষিত যৌন আকর্ষণের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন। কিশোরদের ক্ষেত্রে এই হার ১১ শতাংশ।
এই গবেষণায় ১৫৫৯ জন কিশোর-কিশোরীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রতি ১০জনের মধ্যে একজন ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন সহিংসতার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসা আরও তথ্য হচ্ছে-
নিজেদের যৌন আচরণ নিয়ে অনলাইনে গুজবের শিকার হয়েছেন ২৬ শতাংশ কিশোরী।
১২ শতাংশ কিশোরী দাবি করেন, সঙ্গীর সঙ্গে নগ্ন ছবি শেয়ারে তাদেরকে চাপ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছবি শেয়ারের পর তাতে যৌনতাপূর্ণ মন্তব্য পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ৩৩ শতাংশ কিশোরী আর ১৪ শতাংশ পুরুষ।
অন্য কারও যৌনতাপূর্ণ ছবি নিয়ে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এমন লোক সম্পর্কে জানেন ২৩ শতাংশ।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেক অনুমতি ছাড়াই ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ বা ‘প্রতিশোধমূলক পর্ন’ দেখতে পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
৩১ শতাংশ বা প্রায় এক তৃতীয়াংশ সমবয়ীদেরকেই যৌনতাপূর্ণ ছবি, মন্তব্য আর বার্তা পাঠাতে ভুয়া প্রোফাইল খুলতে দেখেছেন।
হোয়াটসঅ্যাপ-এর মতো মেসেজিং অ্যাপ থেকে শুরু করে স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক মাধ্যম, বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মেই যৌন হয়রানি হচ্ছে বলে এই গবেষণায় বলা হয়।
চাইল্ডনেট-এর প্রধান নির্বাহী উইল গার্ডনার বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তি কমবয়সীদের জীবনে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে কিন্তু এটি যৌন হয়রানিতে নতুন কিছু মাত্রা যোগ করেছে। এ বিষয়গুলোতে সামাজিক আলোচনা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দরকার।”