রোববার সাংহাইয়ের কাছে হুসিন-এ আয়োজিত চতুর্থ ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টারনেট কনফারেন্স’-এ চীনে ব্যবসা ফেরানোর কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন পিচাই। এছাড়া তিনি বলেন গুগলের কিছু কাজ দেশটির স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করেছে, বলা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
পিচাই বলেন, অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি চীনা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য দেশের বাইরে নিতে গুগলের সহায়তা নিয়েছে।
গুগল ওয়েবসাইটসহ প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ সেবাই বন্ধ রয়েছে চীনে। এর মধ্যে ইউটিউবও রয়েছে।
বেইজিংয়ের সেন্সরশিপ পলিসির সঙ্গে সরাসরি দ্বন্দ্বের কারণে সাত বছর আগে চীনে সার্চ ইঞ্জিন বন্ধ করে গুগল।
সুন্দার পিচাই ছাড়াও অ্যাপল প্রধান টিম কুক এবং সিসকো সিস্টেমস-এর চাক রবিনস এই সম্মেলনে অংশ নেন। এর আগে ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে কুক বলেন, দেশটিতে ১৮ লাখ ডেভেলপার তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন। অ্যাপ স্টোর থেকে চীনা ডেভেলপারদের আয় হয়েছে ১৬৯৩ কোটি মার্কিন ডলার।
এ বছর বেইজিংয়ের সাইবার নীতি নির্ধারকদের চাপের মুখে অ্যাপ স্টোর থেকে মেসেজিং অ্যাপ, ভিপিএনসহ শত শত অ্যাপ সরিয়ে ফেলে অ্যাপল। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সমালোচনা করছেন চীনের স্থানীয় গ্রাহকরা। ভিপিএন অ্যাপগুলো তাদেরকে চীনের গ্রেট ফায়ারওয়াল ফাঁকি দিতে সহায়তা করতো।