১০০ দিনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার অঙ্গীকার করেছিলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ইলন মাস্ক। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের জন্য কোনো মূল্য নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
ব্যাটারিটি নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনকারী ফরাসী প্রতিষ্ঠান নিওয়েন এর একটি বায়ু বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
নিওয়েন-এর বায়ু কল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা হর্নসডেল’র উন্মোচন অনুষ্ঠানে অঞ্চলটির প্রদেশিক প্রধান জে ওয়েদারিল বলেন, “নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এখন শীর্ষে রয়েছে।”
মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের মাধ্যমেই প্রথম এই প্রকল্পের প্রস্তাব দেন মাস্ক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকবার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর এই প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্ল্যাকআউটের মুখে পরে অঞ্চলটি, যাতে ১৭ লাখ বাসিন্দাকে বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয়।
জুলাইতে ১২৯ মেগাওয়াট আওয়ার ব্যাটারি তৈরির চুক্তি পায় টেসলা। এক ঘণ্টার জন্য ৩০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা রয়েছে এই ব্যাটরির। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে স্যামসাংয়ের ব্যাটারি সেল ব্যবহার করেছে টেসলা।
লোডশেডিং এড়াতে কর্তৃপক্ষ ব্যাটারির পুরো শক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রাথমিকভাবে এটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে। তবে, এটি চালু করার সঙ্গে সঙ্গে “সিস্টেম সিকিউরিটি সার্ভিসেস”-এর জন্য ব্যবহার করা হবে।
সমর্থনকারীরা বলছেন এই ব্যাটারি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলের পাওয়ার গ্রিডকে স্থিতিশিল করবে। অঞ্চলটির ৪০ শতাংশের বেশি শক্তি আসে বায়ু বিদ্যুৎ থেকে। কিন্তু যখন বাতাস থাকে না তখন অন্য শক্তির প্রয়োজন হয়।
সময়মত প্রকল্প শেষ করায় টেসলাকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে তা এখনও জানায়টি অঞ্চলটি।
আগের বছর ঝড়ের কারণে পুরো অঞ্চলে ব্ল্যাকআউট দেখা দেয়। এ ঘটনার পর ওয়েদারিলকে নিয়ে অনেক সমলোচনা হয়েছে। এরপরই বড় ব্যাটারি এবং ডিজেলজালিত টারবাইন বসাতে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
আরও খবর-