ফায়জাবাদ আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে দেশটির সরকার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সামাজিক মাধ্যমগুলো বন্ধ করে রাখে। পরে রোববার এই সাইটগুলো আবারও খুলে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে পাকিস্তানি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এ।
শনিবার পাকিস্তানে দেশটির সরকার টুইটারের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে- নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইটে এ তথ্য প্রকাশ করে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি।
টুইটারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা জানতে পেরেছি পাকিস্তানি সরকার টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে সেবা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। আর এ কারণে ব্যবহারকারীরা পাকিস্তানে টুইটার ব্যবহারে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি আর এই সেবা শীঘ্রই আবারও ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশা করছি।”
ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিল তা স্পষ্ট নয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানি দৈনিকটির সূত্রমতে, পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)-এর একজন মুখপাত্র বলেন, ওয়েবসাইটগুলো খুলে দিতে নির্দেশনা পাওয়া গেছে।
এ দিকে পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পারমা) দেশটিতে সব বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলও বন্ধ করে দিয়েছে বলে দৈনিকটির প্রতিবেদনে জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযান সরাসরি সম্প্রচার করে সংবাদ চ্যানেলগুলো সংবাদমাধ্যম নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। রোববার থেকে টিভি চ্যানেলগুলোকে আবার তাদের সম্প্রচার শুরু করতে দেওয়া হয়েছে।