চলতি বছর জুনে কারিম বারাতোভ নামের অভিযুক্ত এই ব্যক্তি তাকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর নিয়ে হয়তো লড়বেন না বলে জানান তার আইনজীবী।
সে সময় অভিযুক্তের আইনজীবী অ্যামেডিও ডিকার্লো বলেন, তিনি এই মামলা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও ওয়াশিংটনে মার্কিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
চলতি বছর মার্চে ইয়াহু ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই রুশ গুপ্তচরসহ চার ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মার্কিন বিচার বিভাগ- (ডিওজে)। তখন ডিওজে’র ঘোষণায় জানা যায়, অপরাধী হ্যাকারদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন রুশ গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি’র ওই সদস্যরা। এর আগে ইয়াহু জানিয়েছিল, ৫০ কোটি গ্রাহক অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্থ করা ২০১৪ সালের সাইবার আক্রমণের পেছনে ‘রাষ্ট্রীয়-পৃষ্ঠপোষকতায়’ থাকা হ্যাকারদের হাত ছিল।
এ দিকে সামনের সপ্তাহে বারাতোভ-এর দোষ স্বীকার নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন তার আরেক আইনজীবী অ্যান্ড্রু ম্যানসিলা। মার্কিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলীর স্যান ফ্রানসিসকো কার্যালয়-কে অনুরোধ করা হলেও সেখান থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় চার অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- ৩৩ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও এফএসবি কর্মকর্তা দিমিত্রি আলেকসান্দ্রোভিচ ডকুশেভ, ৪৩ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও এফসবি কর্মকর্তা ইগর আনাতোলাইয়েভিচ সাসচিন, ২৯ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও অধিবাসী অ্যালেক্সে অ্যালেক্সেইয়েভিচ বেলান, ২২ বছর বয়সী কানাডীয় ও কাজাখ বংশোদ্ভূত কারিম বারাতোভ, যিনি কানাডায় বসবাস করতেন। এফএসবি কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করতে হ্যাকারদের নির্দেশনা দিতেন আর অর্থ পরিশোধ করতেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন সরকারের আইনজীবীরা।