শহর থেকে শহরে দ্রুত ভ্রমণসেবা আনছে ভার্জিন

যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত দ্রুতগতির পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ফ্লাইট আনার লক্ষ্য নিয়েছে আকাশযান সেবাদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2017, 03:44 PM
Updated : 23 Nov 2017, 03:44 PM

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জর্জ হোয়াইটসাইডস-এর তথ্যমতে, এর মাধ্যমে বস্টন থেকে বেইজিং বা সিডনি থেকে স্যান ফ্রানসিসকো-তে যাওয়ার সময় অনেক কমিয়ে দেবে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সাপ্তাহিক দ্য ইকোনমিস্ট আয়োজিত বৈশ্বিক আকাশযানবিষয়ক সামিট ‘এ নিউ স্পেস এইজ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা যা দেখি  তা হচ্ছে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভ্রমণ বিবর্তন।”

এ ধরনের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ভার্জিন গ্যালাকটিক-এর যান কনকর্ড-এর চেয়েও দ্রুত উড়তে পারবে। কনকর্ড-এর সর্বোচ্চ গতি শব্দের গতির দ্বিগুণ ছিল। শব্দের গতি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে, কক্ষ তাপমাত্রায় এ গতি হচ্ছে ঘণ্টায় ১২৪৬ কিলোমিটার।

চলতি বছর অক্টোবরে ভার্জিন গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, সৌদি আরবের করা একটি চুক্তি ভার্জিন গ্যালাকটিককে “আমাদের পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সুপারসনিক আকাশ ভ্রমণ প্রকল্প ত্বরান্বিত করবে।”

বর্তমানে ভার্জিন গ্যালাকটিক তাদের দ্বিতীয় ছয় যাত্রী বহনকারী স্পেসশিপ টু প্লেন ভিএসএস ইউনিটি নিয়ে কাজ করছে। এটি যাত্রীদের ছোটখাট ভ্রমণ আর গবেষণার কাজে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ-এর প্রতিবেদনে। প্রথম স্পেসশিপ টু প্লেনটির নাম ছিল ভিএসএস এন্টারপ্রাইজ। ২০১৪ সালে অক্টোবরে এক পরীক্ষামূলক যাত্রায় এটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এই দুর্ঘটনায় প্লেনটির সহ-পাইলট মাইকেল আলসবারি মারা যান আর পাইলট পিটার সাইবোল্ড আহত হন।    

হোয়াইটনাইটটু নামের একটি ক্যারিয়ার প্লেন স্পেসশিপটু-কে তুলে নিয়ে যাবে। তারপর এটিকে প্রায় ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় স্পেসশিপটু প্লেনটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই মূহুর্তে এর রকেট মোটর চালু হয় আর যানটি রানওয়েতে অবতরণের জন্য পৃথিবীতে ফিরে আসে।

এ ক্ষেত্রে যাত্রীরা প্রায় পাঁচ মিনিটের জন্য ওজনহীনতা অনুভব করবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা। এই যানে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের আড়াই লাখ ডলার মূল্যের টিকেট কিনতে হবে, এখন পর্যন্ত ছয়শ’র বেশি যাত্রী বুকিং দিয়েছেন বলে জানান হোয়াইটসাইডস। 

ভিএসএস ইউনিটি এখন পর্যন্ত কয়েকটি ‘আনপাওয়ারড গ্লাইড ফ্লাইটস’ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে, আর রকেট চালিত ফ্লাইটের পরীক্ষা শীঘ্রই করা হবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্ররা।  বাণিজ্যিক কার্যক্রম এর কিছুদিন পর শুরু হওয়া উচিৎ, তবে কবে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

হোয়াইসাইডস এ নিয়ে কোনো প্রত্যাশিত সময়সীমা জানাননি। তিনি বলেন, “যখন এটি প্রস্তুত হবে আমরা তখনই উড়ব। আমরা তখনই উড়ব যখন এটি নিরাপদ।”