এ খবর প্রকাশের সময়ও ইউসি ব্রাউজারের ওয়েবসাইট থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোডের লিংকে ক্লিক করলে প্লে স্টোর থেকে একটি বার্তা দেখানো হয়। এতে বলা হয়- “আমরা দুঃখিত। আপনার অনুরোধ করা ইউআরএলটি সার্ভারে পাওয়া যায়নি।”
ভারতীয় দৈনিক ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভারতে ১০ কোটিরও বেশি গ্রাহক নিয়ে মোবাইল ব্রাউজার হিসেবে গুগল ক্রোমকে টপকে শীর্ষস্থানে যাওয়ার কিছুদিন পরই রহস্যজনকভাবে এই ব্রাউজারকে প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
দৈনিকটি আরও বলে, গুগলের মোবাইল স্টোর থেকে সব মিলিয়ে ৫০ কোটি বার ডাউনলোড হওয়ার মাইলফলক অতিক্রমের পরপর এটিকে প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু এটি কেন করা হলে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি সাইটের বরাতে দৈনিকটি জানায়, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপের মালিকানাধীন ইউসি ওয়েব-এর বানানো এই ব্রাউজার ৫০ শতাংশের বেশি বাজার দখল করে ভারতে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া সব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ছিল।
ইউসি ইউনিয়ন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইউসিওয়েব-এর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। এই প্রতিষ্ঠানের একটি ইমেইলের সূত্র ধরে অ্যান্ড্রয়েডবিষয়ক ব্লগ অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ-এর প্রতিষ্ঠাতা আরটেম রুসাকোভস্কি বলেন, ইউসি ব্রাউজার ‘ক্ষতিকর প্রচারণা’ কৌশল অবলম্বন করছিল।
অ্যান্ড্রয়েডবিষয়ক আরেক সাইট অ্যান্ড্রয়েড সেন্ট্রাল ওই ইমেইলের কনটেন্ট শেয়ার করেছে বলে ভারতীয় দৈনিকটির প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। ওই মেইলে বলা হয়েছে, “ইনস্টল বাড়াতে ইউসি ওয়েব সংশ্লিষ্ট সেবাগুলো থেকে ক্ষতিকর রিডাইরেক্ট বিজ্ঞাপন দেখানোর” কারণে এই সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।
ইউসি ব্রাউজার সঙ্গে কাজ করা মাইক রস নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী তার টুইটে বলেন, “আমি ইউসি ব্রাউজারের জন্য কাজ করি, আমি আজ সকালে একটি ইমেইল পাই। এতে বলা হয় সাময়িকভাবে ৩০ দিনের জন্য প্লে স্টোর থেকে ইউসি ব্রাউজার সরানো হয়েছে কারণ ইনস্টলের সংখ্যা বাড়াতে এতে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘ক্ষতিকর’ প্রচারণা কৌশল ব্যবহার করা হয়।”
আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাড-ব্লকিং ফিচার ব্যবহার করায় এটি সরানো হয়েছে। এতে গুগলের মূল ব্যবসায় প্রভাব পড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য অন্য অ্যাপে অ্যাড-ব্লকার নিয়ে সমস্যা থাকলেও গুগল নিজেই অ্যাড-ফিল্টারিংসহ ক্রোম ব্রাউজারের একটি সংস্করণ উন্মোচনের পরিকল্পনা করছে।