আফগানিস্তানে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম

আফগানিস্তানে বন্ধ হতে যাচ্ছে মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম। বন্ধের কথা বলা হলেও কী কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2017, 10:53 AM
Updated : 4 Nov 2017, 02:10 PM

দেশটিতে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম সেবা ব্লক করতে ইতোমধ্যেই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে আফগান টেলিযোগাযোগ নীতি নির্ধারক সংস্থা (এটিআরএ), বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানে ব্যাপক হারে বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সেবার ব্যবহার। এআরটিএ’র নির্দেশের পর অ্যাপগুলোর গ্রাহক ও নাগরিক অধিকার দলগুলো এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আর সেবা বন্ধ করতে এআরটিএ যে চিঠি পাঠিয়েছে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচুর পরিমাণে শেয়ার করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান এবং অন্যান্য বিদ্রোহী দলগুলোর সংকেতায়িত মেসেজিং সেবার ব্যবহার বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট ফর সিকিউরিটি। গণমাধ্যমের এই খবর তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

দেশটির টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শাহজাদ আরিওবি ফেইসবুক পোস্টে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই টেলিযোগাযোগ নীতি নির্ধারক সংস্থা এই সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

শাহজাদ আরও বলেন, “বাক স্বাধীনতা দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং তারা জানে যে এটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার।”

নভেম্বরের ১ তারিখ হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম সেবা বন্ধের চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে সেবাগুলো ২০ দিনের জন্য ‘অবিলম্বে’ বন্ধ করতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বন্ধের নির্দেশ আসলেও সপ্তাহ জুড়ে সাধারণভাবেই চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম। শনিবারও তাদের সেবা স্বাভাবিক ছিল।

শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপে কিছুটা গোলযোগ দেখা দেয়। কিন্তু এটি স্পষ্ট নয় যে সেবা বন্ধের কারণে এমনটা হয়েছে নাকি এদিন অনেক দেশে হোয়াটসঅ্যাপ সেবায় যে ত্রুটি দেখা গেছে সে কারণে গোলযোগ হয়েছে।