ইনস্টাগ্রামে রুশ প্রচারণা দেখেছে দুই কোটি মার্কিনি

ইনস্টাগ্রামে প্রায় দুই কোটি মার্কিনি রাশিয়া সমর্থিত কনটেন্ট দেখতে পেয়েছেন বলে বুধবার তথ্য প্রকাশ করেছে ফটো শেয়ারিং অ্যাপটির মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2017, 11:12 AM
Updated : 2 Nov 2017, 11:15 AM

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে প্রভাব ফেলতে রাশিয়ার চেষ্টা নিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন মার্কিন সিনেটররা। এই জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিনে ইনস্টাগ্রাম নিয়ে নতুন এই তথ্য প্রকাশ করলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি। 

ফেইসবুকের শীর্ষ আইন উপদেষ্টা কলিন স্ট্রেচ কমিটির কাছে বলেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরের শুরুতে ১.৬ কোটি মার্কিনি ইনস্টাগ্রামের এ ধরনের কনটেন্ট দেখতে পেয়েছেন। আর পুরো অক্টোবরে আরও ৪০ লাখ মানুষ এসব কনটেন্ট দেখেন, যদিও এসব কনটেন্টে থাকা ডেটা সম্পূর্ণ ছিল না বলেও দাবি তার।

২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ প্রভাবের বিষয়ে দুই দিনের কংগ্রেসনাল শুনানির মুখোমুখি হয়েছে ফেইসবুক, গুগল আর টুইটার-এর আইনজীবীরা। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা বট আর স্প্যাম ঠেকাতে তাদের চেষ্টা বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলো তারা আরও স্বচ্ছ করছে বলেও দাবি করে। ফেইসবুক বলে, তাদের আশা ২০১৮ সালের মধ্যে এই প্লাটফর্মে ‘নিরাপত্তা ও সুরক্ষা’ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ২০ হাজার লোক কাজ করবে, যা বর্তমান সংখ্যার দ্বিগুণ।

প্রথম দিন ফেইসবুকের প্রধান আইন উপদেষ্টা কলিন স্ট্রেচ বলেন, “এমনটা হওয়ার পর বুঝেছি, আমাদের আরও বিস্তৃত পরিসরে নজর রাখা উচিৎ ছিল।” ঠিক একদিন আগে ফেইসবুক বলেছিল, রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া প্রায় ৮০ হাজার পোস্ট প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছেছে।

ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকান, উভয় দলীয় সিনেটররাই বলছেন এই প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করে বিদেশি সরকারগুলো যাতে কোনো ফায়দা নিতে পারে সেজন্য তাদের নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার।

মিনেসোটা’র ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার বলেন, “আমি এই চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু আমি মনে করি না এটা যথেষ্ট।”

সন্ত্রাসবাদ আর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রাইভেসি অধিকার ও বাক স্বাধীনতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো ভারসাম্য রাখতে পারছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনেটররা।

লুইসিয়ানার রিপাবলিকান সিনেটর জন কেনেডি বলেন, “আমার মনে হয় আপনারা অনেক ভালো কিছু করছেন, কিন্তু আপনাদের ক্ষমতা দেখে মাঝেমধ্যে আমরা ভয় পাই।”

কয়েকজন রিপাবলিকান আবার নজরদারির বিষয়টিকে নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার বৈধতার বিষয়টিকে দূরে রাখছেন, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

কমিটির প্যানেলের রিপাবলিকান চেয়ারম্যান রিচার্ড বার বলেন, এই প্রভাবের ফলাফল কতটুকু তা নির্ণয় করা অসম্ভব।

এদিকে প্যানেলের শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেন, তার বিশ্বাস টুইটার তাদের প্লাটফর্মে ভুয়া ও স্বয়ংক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোর সংখ্যাকে ‘যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি’। এক স্বাধীন গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলে টুইটার আক্যাউন্টগুলোর প্রায় ১৫ শতাংশই ভুয়া বা স্বয়ংক্রিয়।

এর জবাবে টুইটারের শীর্ষ আইন উপদেষ্টা শন এজেট বলেন, তাদের প্লাটফর্মে পাঁচ শতাংশেরও কম অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়।