সিনেটের প্যানেলে এই তিন প্রতিষ্ঠান অপরাধ আর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কঠিন সব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে। এক্ষেত্রে রুশ অর্থে কেনা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলো কেন তাদের চোখ এড়িয়ে গেল তাও জিজ্ঞাসা করা হয়, খবর বিবিসি’র।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার অনধিকারচর্চা নিয়ে ওঠা আলোচনার প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমগুলোর জন্য নতুন নীতিমালা খুঁজছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে তারা বিজ্ঞাপন নীতিমালা ও নির্দেশনা আরও কড়াকড়ি করবে।
এখন পর্যন্ত আইনপ্রণেতাদের রোষানলে সবচেয়ে বেশি পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমে ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানটিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর আল ফ্রাঙ্কেন জিজ্ঞাসা করেন, কেন রুশ রুবল দিয়ে অর্থ পরিশোধ করার বিষয়টি সন্দেহভাজন কার্যক্রম হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির দৃষ্টি কাড়েনি।
ফেইসবুকের প্রধান আইন উপদেষ্টা কলিন স্ট্রেচ বলেন, “এমনটা হওয়ার পর বুঝেছি, আমাদের আরও বিস্তৃত পরিসরে নজর রাখা উচিৎ ছিল।” ঠিক একদিন আগে ফেইসবুক বলেছিল, রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া প্রায় ৮০ হাজার পোস্ট প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
দুই দিনের কংগ্রেসনাল শুনানির মুখোমুখি হয়েছে ফেইসবুক, গুগল আর টুইটার-এর আইনজীবীরা। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা বট আর স্প্যাম ঠেকাতে তাদের চেষ্টা বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলো তারা আরও স্বচ্ছ করছে বলেও দাবি করে। ফেইসবুক বলে, তাদের আশা ২০১৮ সালের মধ্যে এই প্লাটফর্মে ‘নিরাপত্তা ও সুরক্ষা’ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ২০ হাজার লোক কাজ করবে, যা বর্তমান সংখ্যার দ্বিগুণ।
অন্যদিকে, মিনেসোটা’র ডেমোক্রেট দলীয় আরেক সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার বলেন, “আমি এই চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু আমি মনে করি না এটা যথেষ্ট।”
সন্ত্রাসবাদ আর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রাইভেসি অধিকার ও বাক স্বাধীনতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো ভারসাম্য রাখতে পারছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনেটররা।
লুইসিয়ানার রিপাবলিকান সিনেটর জন কেনেডি বলেন, “আমার মনে হয় আপনারা অনেক ভালো কিছু করছেন, কিন্তু আপনাদের ক্ষমতা দেখে মাঝেমধ্যে আমরা ভয় পাই।”