মালয়েশিয়ার সেই হারানো প্লেনের খোঁজে আবার

হারিয়ে যাওয়া প্লেন এমএইচ৩৭০-কে খুঁজতে মার্কিন এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ‘সন্ধান না পেলে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না’ এমন চুক্তি করেছে মালয়েশিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী ড্যারেন চেস্টার বলেন, ওশান ইনফিনিটি নামের ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া একটি প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করেছে। এই প্রতিষ্ঠান সমুদ্রের বিভিন্ন ডেটা নিয়ে কাজ করে থাকে। 

বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ২০১৪ সালের ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর হারিয়ে যায়, এই ঘটনা বিশ্বের প্লেন চলাচলের অন্যতম বড় রহস্য হয়ে আছে। ধারণা করা হয়, প্লেনটিকে নির্দিষ্ট গমনপথ থেকে সরিয়ে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের দিকে কয়েক হাজার মাইল নিয়ে যাওয়ার পর এটি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রায় তিন বছর তল্লাশি চালানোর পরও বিমানটিকে খুঁজে না পেয়ে নিখোঁজ বিমানটির যাত্রীদের পরিবারের প্রতিবাদ সত্ত্বেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে অভিযান বন্ধ করে অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও চীন। পানির তলে চালানো ১৬ কোটি ডলারের এই তল্লাশি অভিযানে অস্ট্রেলিয়াই নেতৃত্ব দিয়েছিল।

এবার নতুন চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেতে পেলে ব্যর্থ হলে কোনো অর্থ পাবে না, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

নতুন এই সন্ধান প্রকল্পে কত খরচ হবে তা নিয়ে আনুমানিক কোনো অংক প্রকাশ করেনি ওশান ইনফিনিটি। চেস্টার-এর সূত্রমতে, অস্ট্রেলিয়া ট্রান্সপোর্ট সেইফটি ব্যুরো ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ওই প্লেনটি থাকার ‘অনেক বেশি সম্ভাবনাময়’ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি এই এলাকার উপরই নজর দেবে।

হারিয়ে যাওয়ার আগে ওই প্লেনটি ১৪টি  দেশের যাত্রী ও ক্রু বহন করছিল। যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন চীন ও মালয়েশিয়ার। 

নতুন সন্ধান প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়া কারিগরি সহায়তা দেবে বলে জানান চেস্টার।

চলতি মাসের শুরুতে এই প্লেন খুঁজে না পাওয়ায় গভীর হতাশা প্রকাশ করে চলমান রহস্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ।