আক্রমণে ৯০টি অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছিল, ব্রিটিশ দৈনিক টাইমস-এর বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।
ওই আক্রমণের পর দেশটির হাউস অফ কমন্স-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা পার্লামেন্টের নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত করতে ন্যাশনাল সাইবার ডিফেন্স সিকিউরিটি সেন্টার-এর সঙ্গে কাজ করছে। সে সময় আক্রান্তদের পাঠানো এক মেইলে পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ বলে, “আজ (শনিবার) সকালে আমরা আমাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাইবার হামলার চেষ্টা ও কিছু অপ্রচলিত কার্যক্রম শনাক্ত করি।”
হাউস অফ কমন্স-এর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেন, পার্লামেন্টের অ্যাকাউন্টগুলো অ্যাকসেসে অননুমোদিত চেষ্টা চালানো হয়েছে। সদস্য ও কর্মীদের বিস্তারিত তথ্য রক্ষার ব্যবস্থা ঠিকভাবেই ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, “পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে আমরা সাময়িকভাবে নেটওয়ার্কে দূর থেকে অ্যাকসেস বন্ধ করে দিয়েছি। এর ফলে ওয়েস্টমিনিস্টার-এর বাইরে থেকে কয়েকজন এমপি ও কর্মী তাদের ইমেইল অ্যাকাউন্টের নাগাল পাবেন না।”
শুরুতে এই আক্রমণের জন্য রাশিয়া দায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র অ্যাকাউন্টসহ প্রায় নয় হাজার ইমেইল অ্যাকাউন্ট ওই আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রায় ৯০টি অ্যাকাউন্ট লঙ্ঘিত হয়েছে আর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইরান ‘সংবেদনশীল কনটেন্ট’ হাতিয়ে থাকতে পারে।
এই খবর নিয়ে হাউস অফ কমন্স-এর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার-এর এক মুখপাত্র বলেন, “তদন্ত চলাকালীন এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করা উপযুক্ত হবে না।”