নিখুঁত জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটি জাপানের আরেক ধাপ। নতুন এই জিপিএস ব্যবস্থা নতুন ব্যবসায় উৎসাহ বাড়াবে ও অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি জানায়, চতুর্থ মিশিবিকি স্যাটেলাইটটি জাপানের দক্ষিণ ত্যানেগাশিমা স্পেস পোর্ট থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এইচ-২এ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পাঠাতে ২৮ মিনিটের কিছুটা বেশি সময় নেয়।
ইংরেজি আট অংকের মতো কক্ষপথে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর দিয়ে ঘুরতে থাকবে স্যাটেলাইট চারটি। ফলে বাধাহীনভাবে জিপিএস সেবা পাওয়া যাবে এতে। আর এপ্রিলে প্রকৌশলীরা এটির পথ পরিবর্তন করবেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
কয়েক সেন্টিমিটারের মধ্যে ডিভাইসের অবস্থান জানাতে পারবে জাপানি এই জিপিএস। অন্যদিকে মার্কিন জিপিএস ১০ মিটার পর্যন্ত সুক্ষভাবে অবস্থান নির্ণয় করতে পারে।
ডিভাইসের অবস্থান জানতে সাধারণভাবে মার্কিন জিপিএস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
‘জিও-পজিশনিং’ ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে ২০২৩ সালের মধ্যে কক্ষপথে মোট সাতটি স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে জাপানের। ফলে কোনো কারণে মার্কিন জিপিএস কাজ না করলে স্বাধীনভাবে কাজ করবে জাপানি জিপিএস।